কিশোরের মৃত্যু : আজমেরী গেøারির দুই চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : আদালতে রায় ঘোষণা

পরের সংবাদ

দুদকের হাতে আরেক ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চীন থেকে ভুয়া এমবিবিএস সনদ নিয়ে চিকিৎসা পেশা চালিয়ে যাওয়া আরেক চিকিৎসক, গাজীপুরের কাশিমপুর ডক্টরস হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শিবলী সাদিককে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত শনিবার গাজীপুরের ওই হাসপাতাল থেকে দুদকের উপপরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর। গত ১৯ জানুয়ারি এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদ ব্যবহার করে চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেয়া সাত চিকিৎসককে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। তাদের সূত্র ধরেই শিবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর ভুয়া ১২ চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। ওই মামলায় শিবলী সাদিককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি ১৯৯৮ সালে বিকেএসপি থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পাস করলেও ২০০০ ও ২০০১ সালে দুবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এরপর একটি প্যারাডেমিক ডিপ্লোমা ডিগ্রি ও ভুয়া এমবিবিএস সার্টিফিকেট নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর মোড়ে কাশিমপুর ডক্টরস হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, শিবলী সাদিক চীনের ভুয়া ডিগ্রি দিয়ে বিএমএ ও বিএমডিসির নিবন্ধন নিয়েছেন। এভাবে প্রতারণা করে সাভারে পাঁচতলা বাড়ি, দামি গাড়ি ও নিজের হাসপাতালসহ গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পদ। এর আগে চীনের তাইশান মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাসের ভুয়া সনদধারী সাত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে দুদক। গত ৩ জানুয়ারি মাহমুদুল হক নামে একজন হাইকোর্টে আগাম জামিন চান। তাকে জামিন না দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
এজাহারে বলা হয়, এমবিবিএস সনদের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য সনদপত্রগুলোর অনুলিপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় দুদক। ওই বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, উল্লেখিত ১২ জনের এমবিবিএস সনদ ভুয়া। এছাড়া সনদগুলোর স্বাক্ষরের সত্যতা পরীক্ষা করার জন্য হস্তলেখা বিশারদের মতামত নেয়া হয়। তাতেও দেখা যায়, সনদের স্বাক্ষরগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। এজাহারে আরো বলা হয়, ওই ১২ জনের কেউ কখনো চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি। কেউ কেউ কেবল ট্যুরিস্ট ভিসায় চীনে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, রেকর্ডপত্র যাচাইকালে দেখা গেছে ওই ১২ জনের এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া। তারা কখনোই চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেননি। তিনি আরো বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে সরকারি যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়