কিশোরের মৃত্যু : আজমেরী গেøারির দুই চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : আদালতে রায় ঘোষণা

পরের সংবাদ

জাতিসংঘ কর্মকর্তা হত্যায় কঙ্গোর ৫১ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : জাতিসংঘের জাইদা কাতালান এবং মাইকেল শার্প নামে দুই কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোয় ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিল সে দেশের একটি সামরিক আদালত। প্রায় পাঁচ বছর ধরে শুনানি চলার পর গত শনিবার ওই রায় ঘোষণা করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। রায় ঘোষণার দিন আদালতে বেশির ভাগ আসামি উপস্থিত ছিলেন না। বিবিসি জানায়, ২০১৭ সালে কঙ্গোর কাসাই অঞ্চলে সুইডেন-চিলি বংশোদ্ভূত জাইদা কাতালান এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল শার্পকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে একটি জঙ্গি দলের লড়াইয়ের সময় বহু মানুষকে হত্যার পর গণকবর দেয়ার অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য ওই দুই কর্মকর্তা কঙ্গো গিয়েছিলেন। একই সময় তাদের দোভাষী বেতু শিনতেলাকেও হত্যা করা হয়। অপহরণের ১৬ দিন পর তাদের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। কাতালানের শিরñেদ করা ছিল।
এ ঘটনায় জাতিসংঘ হতবাক হয়ে যায়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ ঘটনায় ‘ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তার সংস্থা থেকে সম্ভাব্য সব কিছু করা হবে’। কাসাইয়ে সংঘাতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৬ সালের আগস্টে স্থানীয় নেতা কামুইনা সাপুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ওই সংঘাতের শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে চলা ওই সংঘাত শেষ হয় ২০১৭। যুদ্ধে ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে যান। শনিবারের রায়ে যে ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের বেশির ভাগই জঙ্গি দলের সদস্য। শেষ পর্যন্ত তাদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হতে পারে। কারণ ২০০৩ সালে কঙ্গো সরকার মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিল।
যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে স্থানীয় একজন অভিবাসন কর্মকর্তাও রয়েছেন। এছাড়া একজন আর্মি কর্নেলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে বলেও জানায় রয়টার্স। জাতিসংঘের দুই কর্মকর্তা অপহরণ হওয়ার আগে এই দুজন তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
এদিকে, ৫১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও এই রায়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার কাতালান ও শার্পের পরিবার সন্তুষ্ট হতে পারেনি। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কঙ্গোর শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত। বিচারে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি ঠিকমতো আমলে নেয়া হয়নি। কাতালান ও শার্পের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়