কাগজ প্রতিবেদক : নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা প্যাকেজের চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন। দুই দফায় মাত্র সাড়ে ৪ মাসে বিতরণ করা হয় ৩০০ কোটি টাকা। এসএমই ফাউন্ডেশন এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মাত্র তিন মাসে ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২ হাজার ১৮১ জন উদ্যোক্তার মাঝে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ সম্পন্ন করে এসএমই ফাউন্ডেশন। এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় ২৬ শতাংশ এবং পুরুষ উদ্যোক্তা প্রায় ৭৪ শতাংশ। ঋণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৬২ জন ট্রেডিং খাতের, ১ হাজার ১৬৭ জন উৎপাদন খাতের এবং ৪৭৭ জন সেবা খাতের। ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তাই ৫ লাখ টাকার চেয়ে কম ঋণ পেয়েছেন। উল্লেখ্য, গ্রামীণ অঞ্চলের প্রান্তিক পর্যায়ের সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে এবং স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার লক্ষ্যে সরকার দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে, যার মধ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা ছাড় করে অর্থ বিভাগ।
এসএমই ফাউন্ডেশন এ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রথম দফায় ১২টি এবং দ্বিতীয় দফায় ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঋণ বিতরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- ব্র্যাংক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বেসিক ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সারাদেশের প্রায় ১০০টি এসএমই ক্লাস্টার, চেম্বার, এসোসিয়েশনের সদস্য উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সারাদেশের নারী-উদ্যোক্তা এবং এসএমই ফাউন্ডেশন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন ও এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সুপারিশকৃত এসএমই উপখাত, ট্রেডবডি এবং গ্রুপের তালিকাভুক্ত উদ্যোক্তা এবং সিএমএসএমই খাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রথম দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ না পাওয়া পল্লী ও প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়। মূলত, এসএমই ফাউন্ডেশন নিজে ঋণ বিতরণ করে না।
তবুও নির্ধারিত সময়ের বহু আগেই নির্দিষ্ট পরিমাণ ঋণ বিতরণের মূল কারণ ছিল ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ট্রেডবডি-এসোসিয়েশন এবং ক্লাস্টার এসোসিয়েশনের সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয় সাধন।
ফলে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ হাজার ১০৬ জন সিএমএসএমই উদ্যোক্তার মাঝে দ্রুততম সময়ে ৩০০ কোটি টাকা বিতরণ সম্পন্ন করেছে।