কিশোরের মৃত্যু : আজমেরী গেøারির দুই চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : আদালতে রায় ঘোষণা

পরের সংবাদ

এমডিসহ ৭০ জন করোনাক্রান্ত : বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে উৎপাদন বন্ধ ৪ দিন ধরে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে : খনির অভ্যন্তরে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রায় ৭০ জন দেশি-বিদেশি (চীনা) কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয় খনির ভূ-গর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম। খনি থেকে ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে কয়লা উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৫১০ জন দেশি শ্রমিককে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সম্প্রতি খনির অভ্যন্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক ও চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা-কমচারীদের মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ৭১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানসহ ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। একই দিন খনির চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়ামের ১৮৪ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এদের মধ্যে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ার পর ২৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকেই খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়। ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া কয়লা উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত দেশি শ্রমিকদের।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, খনিতে কর্মরত ৫১০ জন দেশি শ্রমিকের মধ্যে ৪৫০ জনকে গত বৃহস্পতিবার এবং অবশিষ্ট ৬০ জন শ্রমিককে গত শুক্রবার ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের জানানো হয়।
রবিবার দুপুর ১২টায় এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খনিতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সাময়িকভাবে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় আড়াই লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে। তাই খনিসংলগ্ন বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে

কয়লার সংকট হবে না। এই কয়লা দিয়েই বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র কয়েক মাস বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সমস্যা হবে না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই আবার কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে জানান তিনি।
নিজেই করোনা আক্রান্তের কথা স্বীকার করে এমডি প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি নিজেই করোনার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এরপরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন এবং রবিবার দুপুরে ভার্চুয়ালি একটি মিটিংয়ে যোগ দিয়েছেন বলে জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়