কিশোরের মৃত্যু : আজমেরী গেøারির দুই চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : আদালতে রায় ঘোষণা

পরের সংবাদ

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি তোলা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর টেঁটাযুদ্ধ : নিয়ন্ত্রণে পুলিশের গুলি, আহত অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কুলিয়ারচরে গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরের মাটি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ভৈরব উপজেলার আকবরনগর ও কুলিয়ারচর উপজেলার মাধবদী গ্রামবাসীর মধ্যে ৩ ঘণ্টার রক্তক্ষয়ী টেঁটাযুদ্ধ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বেশকিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গুলি ও টিয়ারশেল ছোড়ে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে।
জানা যায়, কুলিয়ারচর উপজেলায় গৃহ ও ভূমিহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর মাটি ভরাটের জন্য দুই উপজেলার মধ্যবর্তী সরকারি খাস জমির কুলিয়ারচর অংশ থেকে মাটি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাটি উত্তোলনের জায়গাটি নিজেদের উপজেলার দাবি করে সেখানে বাধা দেন আকবরনগর গ্রামবাসী।
ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার সকালে দুই উপজেলার এসিল্যান্ডের জায়গা পুনর্নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই দুই উপজেলার দুই গ্রামবাসী এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে একপর্যায়ে ভৈরব উপজেলার আকবরনগর গ্রামবাসী কুলিয়ারচর উপজেলার মাদবদী গ্রামে দেশীয় অস্ত্রসহ ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা মাধবদীর গ্রামের ৭-৮টি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটসহ মাটি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিনের পাইপ ধ্বংস ও লুটপাট করে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ে।
পরবর্তীতে উভয়পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ভৈরব কুলিয়ারচরের সার্কেল এএসপি রেজওয়ান দিপু, কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী, এসিল্যান্ড আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ভৈরব কুলিয়ারচর থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন।
এই বিষয়ে সার্কেল এএসপির পক্ষে কুলিয়ারচর থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সার্কেল স্যারসহ আমরা উপস্থিত হই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ পাঁচ রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল ছুড়ি। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের মাটি উত্তোলন ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। আকবরনগরের জনগণ দাবি করছিল মাটি উত্তোলনের জায়গাটি তাদের সীমানায়। যদিও জায়গাটি কুলিয়ারচরের সীমানায় মেপেই মাটি উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়। এর পরও আকবরনগর গ্রামবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার দুই উপজেলার এসিল্যান্ডের জায়গাটি পুনর্নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই দুই গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়