কিশোরের মৃত্যু : আজমেরী গেøারির দুই চালক কারাগারে

আগের সংবাদ

সিনহা হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত : আদালতে রায় ঘোষণা

পরের সংবাদ

অর্থমন্ত্রী : আগামী অর্থবছরে মাথাপিছু আয় হবে ৩০৮৯ ডলার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আগামী অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনলাইন বৈঠক শেষে গতকাল রবিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে জিডিপিতে দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর এ বছরে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে জিডিপির আকার হবে ৪৫৫ বিলিয়ন ডলার। এটিকে মোট জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভাগ করে দিলেই মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৮৫ ডলারে উন্নীত হবে। আগামী অর্থবছরে দেশের জিডিপির আকার অর্ধ ট্রিলিয়নের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সব সময় বিশ্বের অর্থনীতির বিশ্লেষণ, পর্যবেক্ষণ বা প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। আমরা প্রত্যাশা করছি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশ অবশ্যই অতীতের মতো আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে। আগামী অর্থবছরেও মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ৮৯ মার্কিন ডলার হবে। মুস্তফা কামাল বলেন, দরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ব্যবস্থা আছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার কারণ কী- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন আমদানি বেশি করা হয়, তখন রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। কারণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে আমদানি ব্যয় মেটানো হয়। বর্তমানে আমাদের আমদানি বেশি হচ্ছে। ফলে ইমপোর্ট বিল বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে, যে কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। এটা এখন ৪৫ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠানামা করছে। আমি মনে করি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো অবস্থানে আছে।
অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত কমিটির তিনটি ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য আরো ১৬টি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাতটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তিনটি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিনটি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, জননিরাপত্তা বিভাগের একটি এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়