অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

১৮ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শীতে কাতর জনজীবন : তীব্রতা থাকবে আরো দুই-তিন দিন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মাঘের মাঝামাঝি এসে সারাদেশেই জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষ করে শীতের দাপটে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়ও। বর্তমানে দেশের প্রায় ১৮ জেলার ওপর দিয়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া আরো ১৪ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। এই অবস্থা আরো দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকবে। এরপর তাপমাত্রা বেড়ে আবার বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল শনিবার দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে শুরু হয় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজ তা আরো নতুন নতুন অঞ্চলে বিস্তৃত হবে। তবে আপাতত আরো দুই-তিন দিন শীতের তীব্রতা থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তারা জানান, আগামী দুই-তিন দিন পর শৈত্যপ্রবাহ কেটে যেতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত শুক্রবার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। গতকাল শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা এবং বরিশাল জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের

তথ্যানুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে। আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার দিনই (শুক্রবার) দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের রাজারহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামে ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটাই ছিল চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তবে গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ও রাজারহাটে। এ দুটি স্থানে তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা শুক্রবার ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, আপাতত তাপমাত্রা আর কমার সম্ভাবনা নেই, তাই শৈত্যপ্রবাহ হয়তো তীব্র আকার ধারণ করবে না। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে হয়তো শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। হয়তো দু-একটি স্টেশনে শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ফের বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ সময়ে সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়