অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

‘সিন্ডিকেট’ নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি : মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিয়োগ ফের ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হলেও ‘সিন্ডিকেট হবে কি, হবে না’? এ নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আটকে আছে প্রক্রিয়া। অস্পষ্টতার মধ্যেই গত শুক্রবার বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ একাধিকবার বলেছেন এবার এই বাজার নিয়ে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট হবে না। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো জানিয়েছে অভিন্ন কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র পুরো উল্টো। দেশি-বিদেশি চক্র মিলে গড়ে তোলা সিন্ডিকেটের সঙ্গে মালয়েশিয়ার একাধিক মন্ত্রী ও বাংলাদেশের একাধিক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জড়িয়ে গেছেন পূর্বের ন্যায়। আবার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা। এ নিয়ে চলছে দেন-দরবার। সৃষ্ট সংকট নিরসনে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীপর্যায়ে চিঠি চালাচালি হলেও জটিলতা কাটছে না। ২৫ জানুয়ারি রাতে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি হামজা বিন জয়েনউদ্দিন ও মানবসম্পদমন্ত্রী দাতোক সেরি এম সারাভানান তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসার সব কিছু চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে তারা আসেননি। ঢাকায় না এসে তারা চলে যান ইন্দোনেশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সম্ভাবনার এই শ্রমবাজার ফের ঝুলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। পরিস্থিতি উত্তরণে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সরাসরি কথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ায় গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বৃক্ষরোপণ খাতে অনলাইনে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে। িি.িভপিসং.পড়স.সু এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন জমা শুরু হয়েছে। গত ১৫ জানুয়ারি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। ওইদিন মন্ত্রী স্বাক্ষরিত এক নোটিসে বলা হয়েছে- দেশটিতে বৃক্ষরোপণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩২ হাজার বিদেশি শ্রমিক আনার জন্য সরকার বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে। তার আগে গত ১০ জানুয়ারি সারাভানান নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান, তারা প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে আবেদন জমা দিতে পারবেন। বৃক্ষরোপণ ছাড়া অন্য খাতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে িি.িভপিসং.পড়স.সু এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যোগ্য নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের (বিভিন্ন সেক্টর) জন্য রেফারেন্সসহ ভিসা (ভিডিআর) আবেদন জমা দিতে হবে। এ বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে

মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে হামজাহ বলেছেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এই খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানাতে হবে। ধরা যাক, কোনো বাগানে কাজের জন্য ১ হাজার কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগ কর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এক নোটিসে বলা হয়েছে, নিয়োগ কর্তাদের অন্তর্ভুক্তে যারা ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর চিঠি ইস্যু করেছে বা যারা ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর পেমেন্ট করেছেন কিন্তু চিঠি ছাপা হয়নি তারা আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান-স্টপ অ্যাপ্রæভাল সেন্টার (ওএসসি) থেকে বিদেশি কর্মীদের চাকরির জন্য শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনের পত্রের একটি এক্সটেনশন পেয়েছেন। নিয়োগকর্তাদের বৈধ বায়োমেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, কোভিড-১৯ কভারেজসহ বিমা এবং বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য বিমা সুরক্ষা প্রকল্প জমা দিতে হবে, বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া। নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিকে অবশ্যই ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়ার জন্য নিয়োগকর্তার ঠিকানা অনুযায়ী রাজ্য অভিবাসন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভিডিআর চিঠির মেয়াদ বাড়ানোর মেয়াদ ছিল চিঠি জারির তারিখ থেকে চার মাস। নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের জন্য মাই ট্র্যাভেল পাসের জন্য আবেদন করার দরকার নেই যাদের নতুন বা বর্ধিত ভিডিআর চিঠি দেয়া হয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কর্মীর (বিভিন্ন সেক্টর) জন্য রেফারেন্সসহ ভিসা (ভিডিআর) আবেদন করা যাবে। ২৬ জানুয়ারি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, নিয়োগ কর্তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর চিঠি ইস্যু করেছে বা যারা ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর পেমেন্ট করেছেন কিন্তু চিঠি ছাপা হয়নি তারা আবেদন করতে পারবে। নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান-স্টপ অ্যাপ্রæভাল সেন্টার (ওএসসি) থেকে বিদেশি কর্মীদের চাকরির জন্য শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনপত্রের একটি এক্সটেনশন পেয়েছে। নিয়োগকর্তাদের বৈধ বায়োমেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, কোভিড-১৯ কভারেজসহ বিমা এবং বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য বিমা সুরক্ষা প্রকল্প জমা দিতে হবে, বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া। নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিকে অবশ্যই ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়ার জন্য নিয়োগকর্তার ঠিকানা অনুযায়ী রাজ্য অভিবাসন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভিডিআর চিঠির মেয়াদ বাড়ানোর মেয়াদ ছিল চিঠি জারির তারিখ থেকে চার মাস। নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের জন্য মাই ট্র্যাভেল পাসের জন্য আবেদন করার দরকার নেই যাদের নতুন বা বর্ধিত ভিডিআর চিঠি দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রেসি এম সারাভানান বাংলাদেশ রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (বিআরএ) নিয়োগে সিন্ডিকেট বা একচেটিয়া ক্ষমতার অস্তিত্ব অস্বীকার করে বলেছেন, সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ১০ থেকে ২৭৫ রিক্রুটিং এজেন্সিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জানান, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে এমওইউটি নতুন নয় তবে ২০১৬ সালে স্বাক্ষরিত মূল এমওইউতে শুধু ১০ বিআরএ নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে এমওইউটি পুনঃনবীকরণের জন্য আমি ২৫টি প্রধান বিআরএ এবং ২৫০টি সাব-এজেন্ট যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। স্থানীয় গণমাধ্যম মালয়েশিয়া কিনিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি আমরা নিয়োগের ক্ষেত্রে একচেটিয়া অধিকার চাই, তাহলে মূল এমওইউতে সম্মত হওয়ার কারণে আমরা মাত্র ১০টি এজেন্সি ধরে রাখতে পারি। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি (বায়রা) উদ্বেগ উত্থাপন করেছিল যারা এই সংখ্যা নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। বায়রা আরো দাবি করেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য তাদের প্রায় ১ হাজার ৬০০ সদস্যকে সমান সুযোগ দেয়া হোক। সারাভানান বলেন, নিয়োগ করা সংস্থাগুলো সরাসরি মালয়েশিয়া দ্বারা নির্বাচিত হয়নি এবং সংস্থাগুলোকে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড এবং অন্যান্য কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। মজার বিষয় হলো আমি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছি যাতে আমাকে জানানো হয়, তাদের দেয়া সংস্থাগুলোর সংক্ষিপ্ত তালিকা নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যয় বা অনিয়ম বাড়লে আমি সব এজেন্সিকে নজরদারি করতে পারব না। অন্তত এখন (২৭৫টি এজেন্সির সঙ্গে) কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে পারি। মালয়েশিয়ার তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারনের নেতৃত্বে নতুন নিয়োগের শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা বেশ কয়েকবার বিলম্বিত হয়েছিল। পূর্ববর্তী ব্যবস্থায়, মালয়েশিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর অনুমোদনের সুবিধার্থে একজন এজেন্টকে অর্থ প্রদানের জন্য প্রতিটি বাংলাদেশি কর্মীকে ২০ হাজার রিঙ্গিত পর্যন্ত খরচ করতে হতো। সারাভানান স্বীকার করেছেন এমন কিছু সিন্ডিকেট রয়েছে যা অতীতে তাদের অর্থপ্রদানের চেয়ে বেশি আঘাত করে। এটি বাধ্যতামূলক শ্রমের সমস্যার একটি কারণ। এটি একটি কারণ যে আমরা বিআরএ এজেন্সিগুলোর উপস্থিতির সংখ্যা সীমিত করার চেষ্টা করছি যা আমাদের জন্য নজরদারি করা সহজ করে তোলে।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, নির্বাচিত সংস্থাগুলোর একটি তালিকা দ্বারা গঠিত ‘সিন্ডিকেট’ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই।
বাংলাদেশ রিক্রুটিং এজেন্সি ঐক্য পরিষদের সভাপতি টিপু সুলতান বলেছেন, আমরা এখনো সিন্ডিকেটের আশঙ্কায় আছি। সিন্ডিকেট হবে না এমন কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এজন্য আন্দোলন চলছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিন্ডিকেট হলে দুই হাজার রিক্রুটিং এজেন্সি বঞ্চিত হবে। সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাচার হয়ে যাবে শত শত কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়