অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

শচীন বন্দনায় শোয়েব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ‘আমাদের সময়ে তিন রিভিউ থাকলে টেন্ডুলকার এক লাখ রান করত।’ উক্তিটি আর কারো নয়। তিনি বিশ্বক্রিকেটের কিংবদন্তি পেসার রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস খ্যাত শোয়েব আখতার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে আলাপে শোয়েব আখতার বলছিলেন, ‘এখন দুবার নতুন বল নেয়ার সুযোগ আছে। বোলারদের জন্য নিয়ম আরো কঠিন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন ব্যাটসম্যানদের প্রতি অনেক বেশি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তিনবার রিভিউ নেয়ার সুযোগ দিচ্ছেন আপনারা। আমাদের সময় তিন রিভিউয়ের নিয়ম থাকলে শচীন এক লাখ রান করতেন।’ এই আলোচনায় শোয়েব আখতার আরো বলেছিলেন যে, এ সময়ের বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা কিংবা বাবর আজম, কেইন উইলিয়ামসনরা নিঃসন্দেহে আগের যুগের ব্যাটসম্যানদের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ পান রান করার। এ সুযোগগুলো যদি আগের ব্যাটসম্যানরা পেতেন তাহলে কী হতো? টেণ্ডুলকারের সামর্থ্য নিয়ে শোয়েব বরাবরই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। এই ভিডিওতে সেটারই প্রমাণ দেখা গিয়েছে আবার। শোয়েব নিজে তো টেন্ডুলকারের বিপক্ষে খেলেছেনই, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শেন ওয়ার্ন, ব্রেট লিদের মতো বোলারদের নিয়মিত মুখোমুখি হতে হতো টেন্ডুলকারকে। আর এটাই শোয়েবের চোখে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তিকে অনতিক্রমণীয় উচ্চতায় উঠিয়ে দিয়েছে।
গতিদানবের কাছে শচীন একজন অত্যন্ত কঠিন ক্রিকেটার হওয়ার একটি বিশেষ কারণও আছে। কারণটা আর দুরূহ কিছু নয়। কারণটা হলো এই ক্রিকেট ঈশ্বর ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি ওয়াসিম, ওয়াকার, ওয়ার্নদের মতো বোলারদের বিপক্ষে খেলেছেন। এরপর শোয়েব আখতার, ব্রেট লি এদের খেলেছেন। শেষদিকে পরবর্তী প্রজন্মের পেস তারকাদের মুখোমুখিও হয়েছেন। আধুনিক বিশ্বে দিন বদলের সঙ্গে নিয়মিত পরিবর্তন হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের নানা নিয়মকানুন। দিন যত যাচ্ছে ক্রিকেট যেন ততই ব্যাটসম্যানবান্ধব হয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত ব্যাটিংবান্ধব পিচের দিকে ঝুঁকে পড়া, ফিল্ডিং করার সময় ব্যাটসম্যানদের সুবিধা দেখা, পাওয়ার প্লে সবকিছুর আবিষ্কারই যেন হয়েছে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের আরো বেশি রান করতে দেখার জন্য। টেন্ডুলকার-শোয়েবদের সময়ে এসব নিয়ম ছিল না। তাদের সময়ে এসকল সুবিধা থাকলে টেন্ডুলকার আসলেই ধরাছোঁয়ার বাইরেই চলে যেতেন। টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ বার শতক হাঁকিয়েছেন এই টেন্ডুলকার। টেস্টে ১৫৯২১, ওয়ানডেতে ১৮৪২৬ আর একটি টি-টোয়েন্টিতে ১০ রান মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ৭৮২ ইনিংসে টেন্ডুলকারের রান ৩৪৩৫৭। তালিকার দুই নম্বরে থাকা শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার রান ৬৬৬ ইনিংসে ২৮০১৬। বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনো খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে শচীনের ধারেকাছে আছেন তার স্বদেশী বিরাট কোহলি। ৫০৩ ইনিংসে ২৩৪৭৪ রান নিয়ে তালিকার সাত নম্বরে আছেন ৩৩ বছর বয়সি ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তালিকার সেরা ২৫-এ আর এখনো খেলতে থাকা কোনো ক্রিকেটার নেই। ৩৮২ ইনিংসে ১৬৬০২ রান নিয়ে ২৬ নম্বরে অবস্থান করছেন ইংল্যান্ডের জো রুট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়