অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

মাদকের আড্ডা ভেঙে স্কুল : কুতুবদিয়ায় ফেল নেই যে বিদ্যালয়ে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম এ মান্নান, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) থেকে : সন্তানকে সুশিক্ষায় গড়ে তোলার প্রথম সোপান প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে উপজেলায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা ব্যবস্থাও পিছিয়ে নেই। ৫৯টি প্রাথমিকের মধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুনাম অর্জন করলেও গত দুই দশকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ প্রাথমিকে অন্তত ৪৫টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল গড়ে উঠেছে। ভালো ফল আর পড়ালেখার ধরনে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাচ্ছে কোনোটা। এমনই একটি এবিসি মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুল। উপজেলা সদর বড়ঘোপ বেড়িবাঁধের বাইরে ঝাউতলায় ২০১১ সালে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন কর্তৃক রেজি. নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এক সময় এখানে মদ, গাঁজাসহ অসামাজিক কার্যক্রম চলত। স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষিত যুবকের প্রচেষ্টায় আলোকিত হয় সে স্থানটি। প্রতিষ্ঠার মাত্র এক দশকেই কিন্ডারগার্টেন শিক্ষায় আলোচনায় উঠে আসে এটি। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৮ বছর ধরে রয়েছে শতভাগ পাসের হার। ২০১৪ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ জনে শতভাগ জিপিএ-৫সহ শতভাগ পাস করে উপজেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে এবিসি মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুল। ২০১৫ সালেও একই গতিতে শতভাগ পাসসহ ২২টি জিপিএ-৫ লাভ করে। ২০১৬ সালে ৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ অর্জন করে ৩৭ জন ছাত্রছাত্রী। ২০১৭ সালে ৩৯ জনে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পায় ৩৭ জন পরীক্ষার্থী। ২০১৮ সালে একই গতিতে ৫৮ জন পরীক্ষার্থী শতভাগ পাসসহ ৪৫ জনে জিপিএ-৫ অর্জন করে। ২০১৯ সালে ৬০ জন পরীক্ষা দিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পায় ৪৬ শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে ৬০ জন ও ২০২১ সালে ৬২ জনেও শতভাগ পাস অর্জন করে। ৬ বছরের ফলাফলে ২০৩ জন জিপিএ-৫ লাভ করে। ৪০ জন টেলেন্টপুল বৃত্তিসহ ১৫ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পায় এবিসি মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে।
সরকারি বৃত্তির পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিভা বৃত্তিও রয়েছে অনেক। ২০১৮ সালে মৌলভী সায়েদুল হক ফাউন্ডেশনের বৃত্তিতে ৪ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করে। ২০১৭ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজার জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে বাড়তে থাকে মেধাবী কচিকাঁচাদের মিলন মেলা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুর রহমান সুজন বলেন, বিদ্যালয়টি ১১ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা কমিটিসহ ১০ জন দক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। ঝাউবাগানের পাশে এক সময় এখানে নিয়মিত মদ, গাঁজা সেবনসহ বখাটেদের অসামাজিক কার্যকলাপ চলত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীদের। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফ্রি পড়ালেখা ও কোনো অভিভাবক মারা গেলে পরবর্তী শিক্ষা সমাপনী পর্যন্ত ফ্রি শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। আগামীতে আরো সুন্দর পরিবেশে জায়গাসহ দশম শ্রেণিতে স্কুলটি উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়