অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

মাঝরাতে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়া হলো গার্মেন্টস কর্মীকে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুরুয খান, মানিকগঞ্জ থেকে : দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে মুখোমণ্ডলসহ ঝলসে গেছে সাটুরিয়া উপজেলার সাথী আক্তার (১৯) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর। মাঝরাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্দেশ করেই দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মুহূর্তেই ঝলসে দেয় তার সারাদেহ। সাথী আক্তার এখন মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হচ্ছে। চোখের সামনে মেয়েকে ধুকে-ধুকে কষ্ট করতে দেখে বাবা-মায়ের কান্না যেন থামছেই না।
গত শুক্রবার রাত সোয়া ২টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় সাথীকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের স্বজনরা।
সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী-ফেরাজীপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের মেয়ে সাথী আক্তার।
প্রতিদিনের ন্যায় মা আর ছোট বোনের সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল সাথী। সাথীকে উদ্দেশ করে দাহ্য পদার্থ ছুড়লে মুহূর্তেই তার মুখোমণ্ডল ঝলসে যায়। পাশে থাকা তার মা এবং ছোট বোনের হাত এবং মুখের নানা অংশ ঝলসে যায়।
সাথী আক্তারের মা জুলেখা বেগম বলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় সাথীর। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য সাথীকে চাপ দিয়ে অত্যাচার শুরু করে নাঈম। মেয়ের জামাই একজন বখাটে ও নেশাখোর হওয়ায় সংসার বিচ্ছেদ করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই রাস্তাঘাটে মেয়েকে বিরক্ত করতে শুরু করে নাঈম। তার সঙ্গে সংসার না করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় নাঈম। এর জের ধরেই শুক্রবার মধ্যরাতে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে তার মেয়ের মুখে এসিড মেরে হাত-মুখ ঝলছে দেয় নাঈম। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সাথীর বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আাবাসিক চিকিৎসক কাজী এ কে এম রাসেল বলেন, দাহ্য পদার্থে সাথীর হাত-মুখ ঝলসে গেছে। তাকে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে তার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাটুরিয়া থানার ওসি আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়