অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

বাণিজ্যমেলার পর্দা নামছে কাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আরোপিত বিধিনিষেধের মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা চলছে। তবে নির্ধারিত সময় ৩১ জানুয়ারিই শেষ হচ্ছে মাসব্যাপী মেলার এবারের আসর। ফলে বাণিজ্যমেলার সময় আর বাড়ছে না। শেষ দিকে এসে তাই বেড়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম। মেলায় বরাবরই ক্রেতা টানে রান্নার কাজে দরকারি নানা উপকরণ। মেলায় সব শ্রেণির দর্শনার্থীই একবারের জন্য হলেও আসেন এসব পণ্যের স্টল প্যাভিলিয়নে। খুঁজে বেড়ান দরকারি পণ্য। এ বিষয়ে ক্রেতা দর্শনার্থীরা বলেন, মেলায় কেনাকাটার পাশাপাশি পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। বেশ ভালো লাগছে।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের শঙ্কার মধ্যেই দুই বছর পর পূর্বাচলে স্থায়ী ভবনে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২ আয়োজন করে সন্তুষ্ট আয়োজকসহ ব্যবসায়ীরা। ফলে এবার সময় বাড়ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দুই বছর পর বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা শঙ্কিত ছিলাম রাস্তার জন্য দর্শনার্থীদের আগমন নিয়ে। কিন্তু আমাদের সে শঙ্কা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হবে। সে আয়োজনও প্রায় সম্পন্ন, সময়টা পরে জানানো হবে। করোনা পরিস্থিতিতে মেলার সময় এ বছর আর বাড়ছে না। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পর্যন্ত যে মেলার কার্যক্রম চালাতে পেরেছি এজন্য শুকরিয়া। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মোবাইল কোর্ট থেকে শুরু করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এত লোকের মধ্যে সেটা মানানো সম্ভব না। এখানে ব্যাক্তি সচেতনতাই বড় বিষয়। এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুরুর দিকে ক্রেতা কম হলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বিক্রি। মাসজুড়ে পণ্যের প্রচারে নিজেদের শোরুমেও ভালো কেনাবেচার আশা তাদের। বিক্রেতারা বলেন, মেলার শুরুর দিকে বেচাকেনা কম ছিল। এখন কেনাবেচা বেড়েছে। বরাবরের মতোই মেলার শেষ দিকে দামে বাড়তি ছাড় দিয়েছে বেশির ভাগ স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
শেষ ছুটির দিন হিসেবে গতকাল শনিবার প্রতিটা স্টলে ছিল ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেনাবেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। মেলার ২৯তম দিন সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল সকাল থেকেই এমন দৃশ্য দেখা যায় মেলা প্রাঙ্গণে। এই সুযোগে বিক্রি বাড়াতে ?ও বাড়তি মূল্যছাড়ের পাশাপাশি বিশেষ উপহারও দিচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ছাড়ের বিষয়ে বিক্রেতারা জানান, আমাদের ক্রেতাদের জন্য বিশেষ মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি। ক্রেতাদের ভালো ভিড় রয়েছে। পণ্যে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। দর্শনার্থীদেরও দেখা গেছে কেনাকাটা করেই বেশি সময় কাটাতে। দেখে শুনে সাশ্রয়ে দরকারি পণ্য কিনতে পেরে খুশির কথা জানান তারা।
ক্রেতারা বলেন, বিদেশি পণ্যগুলো বেশ ভালো লেগেছে। আমরা মেলায় পণ্য কিনে সন্তুষ্ট। এদিকে মেলা প্রাঙ্গণে প্রায় সবার হাতেই দেখা গেছে বিভিন্ন পণ্য। ছুটির দিনে মেলায় এসে সময়টা ভালো কাটছে বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা বলেন, মূলত ঘুরতে এসেছি। কেনাকাটাও করলাম। বেশ ভালোই লাগছে।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত ২৫ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলা বন্ধ করা এবং বইমেলার মতো আয়োজন পেছানোর সুপারিশ করে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। তবে এরপরও বাণিজ্যমেলা কার্যক্রম চলমান আছে। সম্প্রতি সংক্রমণ রোধে ৫ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নির্দেশনায় বলা হয়, বাজার, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি মনিটর করবে। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়