অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

প্রযুক্তি জায়ান্টদের নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী বিল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে বড় ব্যবধানে পাসের পর বিলটি নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে ভোটাভুটি হবে। বিলটির পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোট পড়লে তা আইনে পরিণত হবে। সপ্তাহের শেষ দিনে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে বিলটি ১৬-৬ ভোটে পাস হয়েছে। বিলটি অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হয়েছে। প্রযুক্তি জায়ান্টদের আধিপত্য ঠেকানো এবং প্রতিযোগিতা নীতি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে মার্কিন আইনপ্রণেতারা যে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছেন, নতুন বিলে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল, বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা নীতি লঙ্ঘন করছে, যা ভোক্তা, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও উদ্ভাবনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিনেট প্যানেলের প্রস্তাবিত নতুন আইন প্রণয়ন করা হলে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো একচেটিয়া সুযোগ পাবে না। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজনের ই-কমার্স প্লাটফর্মে প্রতিদ্ব›দ্বী কোম্পানির পণ্যের চেয়ে নিজস্ব পণ্যকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া যাবে না। নতুন বিলটিতে গুগলের বিরুদ্ধেও বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি ওয়েব সার্চের প্রতিনিধিত্বকারী এ প্লাটফর্মে অনুসন্ধানের ফলে নিজস্ব সেবা বেশি অগ্রাধিকার পায়। এদিকে সিনেট প্যানেলের বিলটি ঠেকাতে জোরেশোরে তদবির চালাচ্ছে মেটা, গুগল, অ্যামাজন ও অ্যাপলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট। দ্য ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাপল সিইও টিম কুক ও গুগল সিইও সুন্দর পিচাই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সিনেটরদের সঙ্গে দেখা করছেন এবং বিলটির বিরোধিতা করার আহ্বান জানাচ্ছেন। দি আমেরিকান ইনোভেশন অ্যান্ড চয়েস অনলাইন অ্যাক্ট নামে বিলটি উত্থাপন করেছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার ও রিপাবলিকান সিনেটর চাক গ্রাসলি। প্রাথমিক ধাপে সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে বিলটি ১৬-৬ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে। বিলটি আইনে পরিণত হতে প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটে পাস হতে হবে। বৃহস্পতিবার ভোটের আগের বিতর্কে ডেমোক্র্যাট সিনেটর রিচার্ড ব্লæমেনথাল বলেন, ভোক্তাদের সহায়তায় আমাদের বিলটি প্রয়োজন। ছোট কোম্পানিগুলোর ছিটকে যাওয়া ও উদ্ভাবনবিরোধী পদক্ষেপ রোধ করতে ভূমিকা রাখবে বিলটি। এদিকে বাজারে শক্তিশালী অবস্থানের অপব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অ্যামাজন, মেটা, গুগল ও অ্যাপল। তাদের দাবি, অযথার্থ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাদের ওপর নির্ভরশীল ভোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অ্যামাজন বলছে, বিলটিতে তাদের অ্যামাজন প্রাইম সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অ্যামাজন প্রাইমের ২০ কোটি সদস্য এর মাধ্যমে স্ট্রিমিং ও শপিং সেবা নিচ্ছে। এক ব্লগ পোস্টে অ্যামাজনের পাবলিক পলিসিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান হিউজম্যান জানান, বিলটিতে ভোক্তারা এবং অ্যামাজন স্টোরে ব্যবসা করা পাঁচ লাখের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে মিনোসোটার ডেমোক্র্যাট সিনেটর অ্যামি ক্লোবুচার ও বিলটির শীর্ষ প্রস্তাবকদের দাবি, এতে অ্যামাজন প্রাইম কিংবা অন্যান্য সাবস্ক্রিপশন সেবা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। প্রতিদ্ব›দ্বী কোম্পানিগুলোর চেয়ে নিজস্ব পণ্য ও সেবাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়া ঠেকাতে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তারা। বিলটির ভবিষ্যৎ প্রভাব কেমন হবে এ বিষয়ে পূর্বাভাস দেয়া না গেলেও উদ্বেগ প্রকাশ করছে অ্যাপল। অ্যাপ স্টোরের ব্যবসায়িক মডেলের জন্য এটি হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে দেয়া এক চিঠিতে অ্যাপল জানায়, বিলটি আইনে পরিণত হলে আইফোন ও আইপ্যাডে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ‘সাইডলোড’ অ্যাপ হিসেবে ডাউনলোড হবে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে অ্যাপ স্টোরের বাইরের উৎস থেকে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন গ্রাহকরা। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাপে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়