চট্টগ্রাম অফিস : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সকালে একবার, বিকালে একবার এবং সন্ধ্যায় একবার সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। দিনে তিনবার বিষোদ্গার করার পরও বলে, ‘আমাদের মতো প্রকাশের স্বাধীনতা নেই’- যেটি হাস্যকর। গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে বিভিন্ন জায়গায় লবিস্ট নিয়োগ করেছে, তার ডকুমেন্ট আমার আইপ্যাডে সংগৃহীত আছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের নিজের আইপ্যাড থেকে এসব প্রমাণপত্রও দেখান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তারা এফবিআইএর এজেন্ট নিয়োগ করেছে। সেই এফবিআইএর এজেন্টকে কিন্তু এখন বিচারের মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ধ্বংস করতে বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দেয়া, লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা দেশদ্রোহী ও দেশবিরোধী কাজ। এটা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্রের হোতা, অবৈধ অর্থ কোথা থেকে কীভাবে গেল, কারা নিল সেগুলো খুঁজে বের করতে তদন্ত হবে এবং তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীও সেদিন সংসদে বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
জনগণের ওপর আস্থা থাকলে বিদেশিদের কাছে বিএনপির চিঠি দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশের ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণই ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় যাবে এবং কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নেবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে স্বাক্ষর করে ইউএস কংগ্রেসের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে যেভাবে চিঠি দিয়েছেন, সেটি কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। দেশে গণমাধ্যম যে পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করে অনেক উন্নয়নশীল দেশেও সেটি নেই। কারণ আমরা মনে করি, একটি গণতান্ত্রিক এবং বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থার জন্য, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পের আওতায় এখানে নতুন স্টুডিও, অডিটোরিয়াম ও নতুন ভবন হবে। ফলে এ কেন্দ্র থেকে আরো মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও সম্প্রচার করা সম্ভব হবে।
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সদ্য বিদায়ী জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্য ও নবনিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজা আক্তারসহ আরো অনেকে।