অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

ডাকাতি করত সপ্তাহে ১ দিন : ভারতীয় ২ শিক্ষার্থীর সর্বস্ব লুটে নেয়া ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীজুড়ে দাপিয়ে বেড়াত ডাকাত চক্রটি। আর সুযোগ পেলেই তারা সাধারণ মানুষের সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত চলে যেত। চক্রটি ডাকাতি করত সপ্তাহে একদিন। এ কাজে বিভিন্নজনের কাছ থেকে ভাড়া করা গাড়ি ব্যবহার করত তারা। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিতে গাড়ির নম্বর প্লেট স্কচটেপে ঢেকে দিত ডাকাত চক্রটি। এ চক্রের প্রত্যেক সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তবে হোতা অনিকের বিরুদ্ধে ৮টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার পরে ছিনতাই মামলা হলেও ডাকাতির প্রমাণ পাওয়ায় এই মামলা ডাকাতিতে রূপান্তর হবে।
দুই ভারতীয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটের ঘটনায় সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার নিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম।
দক্ষিণ ও প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, গত শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও কেরানীগঞ্জ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে তাদের আটক করা হয়। চক্রের হোতা মো. আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ আহম্মেদ ওরফে অনিক ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলো- গাড়িচালক মো. ফখরুল ইসলাম ওরফে ফকু, মো. আলমাস, মো. সামুন, মো. শাহিন, মো. বাবু ও শফিকুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি প্রাইভেটকার, ২টি চাপাতি, লুণ্ঠিত ১টি ল্যাপটপ ও লুণ্ঠিত ১টি

মোবাইলসহ ১৮টি মোবাইল, লুণ্ঠিত ৪৩ হাজার ৯৫০ ভারতীয় রুপি ও নগদ ৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ডা. সিরাজুল মেডিকেল কলেজের দুই ভারতীয় শিক্ষার্থী শাহিল আহমেদ ও আসিফ ইকবাল থাকতেন মগবাজার এলাকার হোস্টেলে। গত ২৩ জানুয়ারি ভোরে দুই সপ্তাহের ছুটিতে নিজের দেশ ভারতে যাওয়ার উদ্দেশে হোস্টেল থেকে বের হন তারা। এ সময় গ্রামীণ চেক শো-রুমের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার তাদের সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর প্রাইভেটকার থেকে অজ্ঞাতনামা মুখোশধারী চারজন তাদের ঘিরে ফেলে। এদের মধ্যে দুজন ভিকটিমদের গলায় চাপাতি ঠেকিয়ে ধরে এবং অন্য দুজন তাদের সঙ্গে থাকা ১ ট্রলি ব্যাগ, ১টি হ্যান্ডব্যাগ, ১টি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন, ৫৭ হাজার ভারতীয় রুপি, নগদ ৭ হাজার ৬ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত ২৩ জানুয়ারি রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। রাজধানীতে প্রায়ই এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, আপনাদের নজরদারি নেই কেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, টহল পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও নজরদারি রয়েছে। যেখানে ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো ঘটছে সেখানে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই ছিনতাইকারীরা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। যারা ছিনতাইয়ের কাজ করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সেই কাজটিই ডিবি পুলিশ করে যাচ্ছে। প্রাইভেটকার যারা ভাড়া দিচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে ডিবির পরামর্শ সম্পর্কে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় গাড়ির মালিক জানতেন না তার গাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিনতাই কাজে যাচ্ছে। পরিচিত অথবা জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে গাড়ি ভাড়া না দেয়ার জন্য অনুরোধ রইল। গ্রেপ্তারকৃতরা নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় ছিনতাই করত নাকি সমগ্র ঢাকা শহরে ছিনতাই করত? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। রাতে বের হয়ে সময় সুযোগ বুঝে ছিনতাই করত। ১৮টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। এই মোবাইলগুলোর মালিক কে বা কারা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্ধার ১৮ মোবাইলের মধ্যে একটি মোবাইল ভুক্তভোগী একজন শিক্ষার্থীর। বাকি ১৭টি মোবাইলের সূত্র ধরে ভুক্তভোগীদের ফেরত দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়