অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস : জনবল সংকটে সেবা নিশ্চিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : মহামারি করোনা চলাকালে স্বল্পসংখ্যক জনবল নিয়ে পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে উপচে পড়া ভিড় সামলে নিয়ে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগারগাঁও বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে পাসপোর্টের জন্য প্রতিদিন প্রায় তিন হাজারের অধিক আবেদন জমা পড়ে। তবে জনবল সংকটে গ্রাহকদের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ফলে জনবল বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে। এ অফিসে একদিকে যেমন জনবল সংকট অন্যদিকে পাসপোর্ট আবেদনকারীদের অতিরিক্ত চাপে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তকর্তারা। পাসপোর্ট অফিসের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র বলছে, একেতো জনবল সংকট তার ওপর করোনা চলাকালে অর্ধেক জনবল। সেই সঙ্গে আবেদকারীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুণ। এর মধ্যে সেবা কার্যক্রম ঠিক রেখে কাজ চালানো একটি দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার এরই মধ্যে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আবেদনে দেয়া সকল তথ্য সঠিক থাকলে সাধারণত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীর কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। তবে এখানে যারা আবেদন জমা দিতে আসেন তার অধিকাংশ আবেদনই ত্রæটিপূর্ণ। তারপরও নানা সমস্যা নিয়েই প্রতিনিয়ত পাসপোর্টের সেবা দিতে হয়।
এসব সমস্যা সম্পর্কে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস ঢাকার পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অনেক আবেদনকারী তার নিজ জেলার স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে ঢাকার ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদন জমা দেন। ফলে ওই ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ তাকে না পেয়ে বিপক্ষে প্রতিবেদন দেয়। পরে ওই আবেদনকারী এসে আমাদের কাছে অনেক সময় অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, অনেকেই মনে করেন, আগারগাঁয়েই শুধু পাসপোর্ট অফিস আর কোথাও নেই। ফলে এখানে প্রতিদিনই উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে ৬৮টি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে। আবেদনকারীরা নিজ জেলায় গেলে একদিকে যেমন তার সময় কম লাগবে, অন্যদিকে তিনি নির্বিঘেœ সেবা পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, তারপরও আমরা আবেদনকারীদের সহজে সেবা দিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের কার্যক্রমকে মহাপরিচালক তদারকি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়