অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

অভিজাত নকশার সোফার যতœ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সায়মুল করিম, উদ্যোক্তা ও ডিজাইনার, এসকে ডেকোর

প্রায় প্রতিটি শৌখিন বা সচ্ছল পরিবার নিজ বাড়িতে অন্তত একটি সোফা রাখেন। আসবাবের এই টুকরোটি একই সাথে শরীর এবং আত্মার জন্য বিশ্রামের জায়গা, ডিজাইনার ফ্যান্টাসিগুলির মূর্ত প্রতীক, প্রতিপত্তি এবং ভাল স্বাদের সূচক। তাই আমাদের রোজকার জীবনের সব কটি অধ্যায়ের সাথে আসবাব হিসাবে বৈঠকখানার অলংকরণ করে সোফা। রোজকার জীবনের সাথে তাই জড়িয়ে আছে এর প্রয়োজনীয়তাও। ধরেন, বাড়িতে আসা অতিথিদের বসতে দিতে সোফা প্রয়োজন, পারিবারিক জমায়েতে জম্পেশ আড্ডার জন্যও সোফা, একসাথে বাসার সবাই বসে আড্ডা দিতেই হোক বা আলোচনাই হোক কিংবা সবাই মিলে নাটক বা সিনেমা দেখতে?সব কিছুতেই সহজ বসার সমাধান দেয় সোফা। ইদানিং দামী কাপড়ে ডিজাইন মুন্সিয়ানায় মিনিমাল বা ভিক্টরিয়ান নকশায় তৈরি হচ্ছে দরকারী এই আসবাবটি। শৌখিন প্রতিটি মানুষের তাই প্রয়োজন এসব দামী কাপড়ে তৈরি সোফার বাড়তি যতœ নেয়া।

স্লিপ কাভার ব্যবহার করুন
যেকোনো আসবাবপত্র এবং সোফাকে ধূলা জমে থাকা থেকে রক্ষা করা প্রায় অসম্ভব। এই ধূলার পরিমান বা নিয়মিত ব্যবহারে সৃষ্ট নোংরা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল স্লিপকভার ব্যবহার করা। আপনার গোটা সোফাটি তার আকৃতির স্লিপকভার দিয়ে ঢেকে রাখুন এবং যখন মেহমান আসবে তখন সেটি সরিয়ে দিবেন, তাইলে সোফাটি আর ধূলা পরে ময়লা বা তেল চিটচিটে হবেনা।

সোফার সঠিক অবস্থান
উপরিভাগে কাপড় দিয়ে তৈরি- এমন সোফা কখনো সরাসরি সূর্যের আলো আসে এমন জায়গায় রাখা যাবে না। সরাসরি সূর্যের আনফিল্টারড অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে অল্প দিনেই ফেব্রিকের রং চটে যাবে। তাই জানালার পাশে বা বারান্দায় আসবাবটি রাখা হলে দিনের বেলায় পর্দা দিয়ে রাখতে হবে, যেন সূর্যের আলো সরাসরি সোফায় বা কাউচে না লাগে। আবার বৃষ্টির পানি ছিটে আসতে পারে এমন জানালার পাশে আসবাবটি রাখা হলে বৃষ্টির দিনে খুব সতর্ক থাকতে হবে জানালা বন্ধ করা নিয়ে। তার মানে কিন্তু একদমই এমন নয় যে আসবাবটি আলো-বাতাসহীন বদ্ধ ঘরে রেখে দেবেন। আসবাবের যতেœ আলো-বাতাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচল না করলে বা ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকলে ঘরের সব আসবাবই নষ্ট হয়ে যাবে।

নিয়মিত যতœ
আসবাবপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করা ভীষণ জরুরি। সপ্তাহে অন্তত একবার ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। নরম কাপড় দিয়ে মুছতে হবে। ঘরে পোকামাকড় হলে সেটা দ্রুত নিধন করতে হবে। বেশি দিনের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে ন্যাপথলিন বা সিলিকা জেল রাখা যেতে পারে সোফায়, এতে পোকামাকড় বা অণুজীবের সংক্রমণ ঘটবে না। কখনোই সোফার হাতলে বসা যাবে না, সোফায় ভারী কিছু রাখা যাবে না। এতে ফেব্রিকে টান পড়বে, এবং কাপড় আগের মতো থাকবে না, ঢিলা হয়ে যাবে। এতে সোফা বা ডিভানের আকারে বিকৃতি ঘটবে।

দাগ মুক্ত রাখা
সোফায় ব্যবহৃত দামী কাপড়ে কোনোভাবেই দাগ পড়তে দেওয়া যাবে না। কখনোই নিজের হাত থেকে কিছু ফেলা যাবে না সোফায়, কখনোই সোফায় বসে খাওয়ার অভ্যাস করা যাবে না। চা, কফি বা অন্য পানীয় হাতে নিয়ে সোফায় বসার ক্ষেত্রে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। দুর্ঘটনাবশত ছিটকে পড়তেই পারে কখনো কখনো, সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত মুছে ফেলতে হবে। খুব সাবধানে পরিষ্কার করতে হবে, কোনো অবস্থাতেই ঘষে দাগ তোলার চেষ্টা করা যাবে না। আলতোভাবে সুতি, নরম কাপড় দিয়ে মুছতে হবে, মোছার জন্য পুরোনো কাপড় ব্যবহার করাই ভালো। পানি দিলে সতর্ক থাকতে হবে, কাপড় দিয়ে আলতোভাবে পানি শুষিয়ে নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই সাবানপানি ব্যবহার করা যাবে না। আর কাপড় ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন কাপড়ের রং উঠে সোফা বা কাউচের গায়ে বসে না যায়, আর কাপড় থেকে লিন্ট বা শণ উঠলে সে কাপড়ও ব্যবহার করা যাবে না।

ধুলাবালি থেকে সাবধান
ধুলাবালি থেকে সাবধান থাকাটা ভীষণ জরুরি। কারণ কাপড়ে ধুলা আটকে রাখে। এ কারণেই সপ্তাহে অন্তত একবার ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি। তবে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন। ঘরের সিলিং বা দেয়াল পরিষ্কার করতে গেলে অবশ্যই বড় কাপড় দিয়ে সব আসবাব ঢেকে রাখতে হবে। ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময়ও খুব সাবধানে ঝাড়ু দিতে হবে যেন ধুলা না উড়ে। এ জন্য ফ্যান বন্ধ রাখতে হবে।

আর যা যা মাথায় রাখব
ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কখনোই সরাসরি ফেব্রিক ফার্নিচারের ওপর রাখা যাবে না।
১. সোফা বা ডিভানে বসে ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হলে প্রোটেক্টিভ প্যাডিং ব্যবহার করতে হবে। ধারালো খেলনা, গহনা, শোপিস, প্লেট এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সাবধান থাকতে হবে। আসবাবটি স্থানান্তর করার সময় অবশ্যই তুলে সরাতে হবে। কখনোই ঠেলে সরানো যাবে না।
২. কুশনে কভারগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এবং কুশন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্যবহার করলে ভালো। ফেব্রিক ফার্নিচারের যতেœর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই কুশনের যতœ। মূলত ফেব্রিকের আসবাবগুলোর যতœ যেমন একদিকে সৌন্দর্য বা পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজন একই সাথে সুস্থতার জন্যও প্রয়োজন। আর তাই সবার উচিত এই ছোট ছোট জিনিসগুলো মাথায় রাখা।
আসবাবপত্র : এসকে ডেকোর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়