অনেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়ান ও সেলফি তোলেন : ছুটির দিনে বাণিজ্যমেলায় উপচে পড়া ভিড়

আগের সংবাদ

ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর : নমুনা পরীক্ষায় ৮০ শতাংশেরই করোনা > ‘পজেটিভ’ হওয়ার ভয়ে নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ

পরের সংবাদ

অনিয়ম ঢাকতে রাতের আঁধারে সড়কে ঢালাই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে অনিয়ম ধামাচাপা দিতে রাতের আঁধারে একটি কার্পেটিং সড়কের ঢালাই কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় এখন তোলপাড় চলছে। সড়কটি নির্মাণের অনিয়ম সম্পর্কে গত ২৬ জনুয়ারি ‘বাউফলে সড়ক নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজসহ একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পরপরই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এবং উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ রাতের আঁধারে মোবাইলের লাইট জ¦ালিয়ে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেন। জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের বীরপাশা বাজার থেকে কুয়েত মসজিদ পর্যন্ত ২ দশমিক ২২ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। নির্মাণকাজ শুরুর পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডির বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে শুরুতেই সড়কটির বেড কেটে স্থানীয় পুকুর ও ডোবা থেকে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে কাদা-মিশ্রিত স্যান্ড ফিলিং করা হয়। এরপর সাববেজ, এজিন ও ম্যাকাডাম নির্মাণের ক্ষেত্রে নি¤œমানের ইট ব্যবহার করা হয়। ম্যাকাডাম তৈরির পর রোলার দিয়ে কমপ্যাক করার সময় পুরো বেড ডাস্ট হয়ে যায়। অনিয়মের বিষয়টি এলাকাবাসী মৌখিকভাবে তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে একাধিকবার অবহিত করলেও বিষয়টি তারা কর্ণপাত করেননি। এলাকাবাসীর তীব্র প্রতিবাদের মুখেই ওই ডাস্টের ওপর গত তিন-চার দিন ধরে রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে সড়কটির কার্পেটিং করা হয়। সরজমিন এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের কাছে সড়কটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পদে পদে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুমন (৩২) ও মোতাহার মোল্লা (৬০) বলেন, গত তিন-চার দিন সন্ধ্যা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে সড়ক নির্মাণের কাজ করা হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে কোনো রকম কাজ শেষ করেন শ্রমিকেরা। তারা আরো বলেন, পুকুর ও ডোবা থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কাদা-মিশ্রিত বালু উত্তোলনের পর রাস্তা ভরাট করা হয়। এদিকে দেয়া হয় নি¤œমানের ইট। খোয়া ছিল চুলার মাটির মতো। প্রাইমকোটে সামান্য পরিমাণে বিটুমিন ছিটিয়ে দেয়া হয়।
সিলকোট ঢালাই এখনই উঠে যাচ্ছে। অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এনামুল হক বলেন, সিডিউল মেনে কাজ করা হয়েছে। তদারকির দায়িত্বে থাকা বাউফল এলজিইডির সার্ভেয়ার জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক নিয়মে কাজ হয়েছে। অভিযোগ সত্য নয়। উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, রাতের আঁধারে কাজের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জি এম সাহাবুদ্দিন বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়