লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

মৌলভীবাজারে হাইব্রিড লাউ ‘সুলতানা’র বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার থেকে : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অধিক ফলনশীল ও আকর্ষণীয় হাইব্রিড লাউ ‘সুলতানা’র বাম্পার ফলন হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল এই বীজ সরবরাহ করেছে লাল তীর সিড। বিঘাপ্রতি হাইব্রিড লাউ সুলতানার উৎপাদন হয় ৪৫ থেকে ৫০ টন। যা এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের কৃষক ইমাম হোসেন এ বছর প্রথমবার এটি চাষ করেন। তার ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক শুরু করেন লাল তীরের হাইব্রিড জাতের লাউ সুলতানা চাষ।
সরজমিন দেখা যায়, তার লাউ গাছে এখন ঝুলছে সারি সারি লাউ। কোনোটা বড়, কোনোটা মাঝারি, কোনোটা ছোট। আছে অনেক ফুল। লাউগাছের ফুলের যেমন হাসি বাম্পার ফলনে কৃষক ইমামের মুখেও লেগে রয়েছে সেই হাসি।
এ ব্যাপারে কৃষক ইমাম হোসেন জানান, চারা লাগানোর ৫৫ দিনের মাথায় গাছে ফল আসা শুরু করে। ওজনে লাউগুলো কোনোটা ৩ কেজি ৪ কেজি। ৩৩ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকার মতো। আর এখন মাঠ থেকে প্রতি পিছ লাউ বিক্রি করেছেন ৫০ থেকে ৫৫ টাকা মূল্যে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন
তিনি আরো জানান, এ সময়ে বাজারে লাউয়ের চাহিদা বেশি থাকে। তাই স্থানীয় বাজারে লাউয়ের চাহিদাও ভালো। স্থানীয়রা বাগানে এসেও লাউ ক্রয় করে নিচ্ছেন। এমন উৎপাদন অব্যাহত থাকলে তিনি প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে হাইব্রিড লাউ সুলতানা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী।
স্থানীয় কৃষক সুকুমার কপালি জানান, হাইব্রিড লাউ চাষ শুরু করার অল্প সময়ে ফল আসে। ‘সুলতানা’র এই বাম্পার ফলন দেখে গ্রামের অন্যান্য কৃষকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তারা এর চাষ করার পরিকল্পনা করছেন।
হাইব্রিড লাউ সুলতানা বীজের উৎস প্রতিষ্ঠান লাল তীর সিড লিমিটেডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক তাপস চক্রবর্তী জানান, লাউ সুলতানা অধিক ফলনশীল আকর্ষণীয় ও এ দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুতে সহনশীল। লাউটি হালকা সবুজ এবং লম্বায় ৫০ সেন্টিমিটার। আমাদের নিজস্ব উৎপাদিত একটি লাউয়ের জাত এটি। কৃষকদের জন্য অনেকটাই আর্থিকভাবে লাভজনক এবং সারা বছর চাষ করা যায়। যার বিঘাপ্রতি লাউ সুলতানার উৎপাদন হয় ৪৫ থেকে ৫০ টন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি ভোরের কাগজকে জানান, হাইব্রিড সুলতানা চাষ করে কৃষক অল্প সময়ে লাভবান হয়েছেন। পরীক্ষণ খামারে এটি প্রমাণিত হয়েছে। এটি দেখে এখন অনেক কৃষক লাউ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের লাউচাষসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়