লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

বলসুন্দরী কুল চাষে সাড়া ফেলেছেন আবু বকর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এইচ এম জসিম উদ্দিন, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) থেকে : বলসুন্দরী কুল চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন চাষি আবু বকর শেখ। মাত্র ৬৬ শতক জমিতে এ কুলের চাষ করে উপার্জন করছেন লাখ লাখ টাকা। বাগান দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন এলাকার চাষি এবং উৎসুক জনতা। একজন সফল চাষি হিসেবে আবু বকর শেখ (৪৯) এখন এলাকার প্রিয় একটি মুখ।
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়নের আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোশারেফ শেখের ছেলে মো. আবু বকর শেখ একজন সফল চাষি। ৬৬ শতক জমিতে নতুন প্রজাতির ‘বলসুন্দরী’ কুল ফলের চাষ করে এখন গোটা দক্ষিণাঞ্চলে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি। আর তার এ বাগান দেখতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসছেন বিভিন্ন জেলার চাষি ও উৎসুক মানুষেরা। কিনে নিচ্ছেন তারা বলসুন্দরী কুল ও গাছের চারা। আর ভালো ফলন দেখে এ চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন অন্য চাষিরাও। চাষি আবু বকর শেখ জানান, কুমিল্লা থেকে গত বছরে আনা এ বলসুন্দরী কুলের চারা থেকে বংশবিস্তার করে এক হাজার চারা হয়েছিল এ বাগানে। পরে চারার ঘনত্ব কমিয়ে বাগানে রাখা হয়েছে ১৫০টি গাছ। বাকি গাছের চারা বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বাগানে থাকা এই দেড়শ গাছের প্রতিটি গাছে এখন এক থেকে দেড় মণ করে কুলের ফলন দেখা যাচ্ছে। ৩-৫ মাসের মধ্যে ফলন আসে এ গাছে। মৌসুমে ৩ মাস থাকে এ বরইয়ের উৎপাদন। গতবারের থেকে এ বছরে তিনি আরো বেশি লাভবান হবেন বলে আশা করেন। এবারে সব খরচ মিটিয়ে ৮-১০ লাখ টাকা আয় করবেন বলে আশা করছেন। খুচরা ১৫০ টাকা এবং পাইকারি ১০০ টাকা কেজি দরে এ কুল কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি এ প্রজাতের পুরাতন প্রতি কলম ৫০ টাকা এবং নতুন কলম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ উপজেলার বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন পিরোজপুর, বরিশাল জেলার চাষিরাও এ গাছের কলম কিনে নিচ্ছেন এখান থেকে। বাগানটি পরিচর্যার জন্য ৫শ টাকা মজুরিতে ৩ জন শ্রমিক সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।
এছাড়াও বাউকুল, কাশমেরী কুল ফলিয়েও সফল হয়েছেন তিনি। চাষি আবু বকরের নেশা-পেশা শুধু বাগান করা। বিভিন্ন ফলের ও ফুলের বাগান রয়েছে তার। বিভিন্ন প্রজাতির বরই, আম, পেয়ারা, পেঁপে, ছফেদা, লিচু বাগানসহ ১১টি ফলের বাগান রয়েছে তার। ২৪ বিঘা নিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত নার্সারির নাম ‘আলিফ নার্সারি’।
পরিবারে বৃদ্ধ মাতা, স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তার। এ বলসুন্দরী কুলের চাষসহ এমন নার্সারি চাষে যুব সমাজকে এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়