লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

নাচের বিশেষ জুতা নেই ব্যালে কন্যা ইরার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আবু বকর সিদ্দিক, নওগাঁ থেকে : ছবির মডেল নৃত্যশিল্পী ইরার জন্মস্থান নওগাঁয়। চার বোনের মধ্যে ইরা তৃতীয়। বড় দুই বোন আলাদা প্রতিভার অধিকারী। ইরা নওগাঁ সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসিতে পেয়েছেন জিপিএ-৫। এখন পড়ছেন নওগাঁ সরকারি কলেজে। ইরার বাবা স্থানীয় ফার্নিচার ব্যবসায়ী। মফস্বল শহরে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে পড়ালেখা ও অনুশীলন করে সাফল্য এনেছেন অনেক। চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি ফ্রি-ল্যান্সার জয়িতার ক্যামেরায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে শূন্যে ভাসার এমন ছবি তোলা হয়। এর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাতারাতিই হয় ভাইরাল। নাচের এই ধরনকে বলা হয় ব্যালে। ব্যালে-জিমন্যাস্টিক মিলিয়ে পারফর্ম করেন নওগাঁর শিল্পী ‘মুবাশশীরা কামাল ইরা’।
মুবাশশীরা কামাল ইরা ভোরের কাগজকে বলেন, নাচ আমার জীবনের ফেবারিট একটা অনুশীলন। এই নাচের জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি এবং এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি। জানি না আল্লাহ আমার কপালে কী রেখেছে। তবে নাচের মধ্যে দিয়েই আমি কিছু করতে চাই। সামনে নাচ নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা আছে। সেটা যদি দেশের বাইরে হয় তাহলে তো ভালো হয়।
ইরা আরো বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ইউটিউব দেখে এই ব্যালে নাচ শুরু করি। এরপর ধীরে ধীরে বাসায় অনুশীলন করতে থাকি। প্রথমদিকে অনেক কঠিন হলেও এখন মোটামুটি নাচের সব স্টেপ আয়ত্ত করতে পেরেছি। তবে আরো বেশ কিছু ধাপ রয়েছে ইনশাআল্লাহ সেগুলো শেষ করব। দেশীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি এই ব্যালে নাচে নতুন কিছু করার ইচ্ছে আছে।
ইরার মা ফাহমিদা কামাল বলেন, ছোট বেলা থেকেই নাচ করতে ভালোবাসে ইরা। নাচের প্রথম হাতেখড়ি নওগাঁর স্থানীয় সুলতান মাহমুদের কাছে থেকে। এরপর ঢাকায় ভরতনাট্যমে শেখে নাচ। ২০২১ থেকে সাধনার সঙ্গে কাজ করছে ইরা। পড়ালেখা আর নাচের পাশাপাশি জিম, স্কেটিং, টেনিস ও ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে ইরা। তবে প্রথমদিকে ইরার নাচ নিয়ে পরিবার থেকে কারো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। একমাত্র আমি তাকে সাপোর্ট দিয়ে এ পর্যন্ত এনেছি। অবশ্য এখন মোটামুটি সবাই তাকে নাচের বিষয়ে সহযোগিতা করে।
ইরার মা আরো বলেন, মেয়ের এই শখের নাচের বিশেষ ধরনের জুতা এখনো কিনে দিতে পারেনি পরিবার। বাংলাদেশে সচরাচর এই জুতা পাওয়া যায় না। তাই তো খালি পায়ে অনেক কষ্টে এই ব্যালে নাচ করে ইরা। তবে মেয়েকে নিয়ে অনেক আশা মায়ের। দেশের পাশাপাশি বিদেশে সুনাম পাবে ইরা।
ইরার বাবা আবু হায়াৎ মোহম্মদ কামাল বলেন, আমার ইচ্ছা নাচের পাশাপাশি মেয়ে লেখাপড়া শেষে বিসিএস ক্যাডার হবে। আমি আশা রাখি আমার মেয়ে অবশ্যই সফল হবে। কারণ ইরার ইচ্ছা শক্তি অনেক। সে ছোট বেলা থেকেই যা করার ইচ্ছা করে সেটিই করে দেখায়। মেয়েকে নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়