লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

নর্থ বেঙ্গল সুগারমিল : ২০০ টন আখের রস ফেলে দেয়ার অভিযোগে ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, নাটোর : নাটোরের লালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগারমিলে মাড়াইকৃত আখের রস ও সিরাপ ফেলে দেয়ার (ড্রেনআউট) অভিযোগ পাওয়া গেছে। কর্তব্যে অবহেলা করে মাড়াই কার্যক্রম ব্যাহত করার অভিযোগে ৫ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) করেছে কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার রাত ৪টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ টন মাড়াইকৃত আখের রস ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটে। তবে একটি সূত্র বলছে, রস যাওয়ার যে ড্রেন তা জাম হয়ে যাওয়ার কারণে রস ড্রেন উপচে পড়ে গেছে। এ ব্যাপারে কর্তব্যে অবহেলা ও মাড়াই কার্যক্রম ব্যাহত করার অভিযোগে গত বুধবার বিকালে ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজকৃত ৫ কমকর্তা হলেন- ফ্যাক্টরি ম্যানেজার, ডেপুটি চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, ম্যানেজার (উৎপাদন) ও দুজন ডেপুটি ম্যানেজার (উৎপাদন)। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে মিল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।
মিল সূত্রে জানা যায়, ফ্যাক্টরির ফ্যান বোর্ডে ত্রæটি দেখা দিলে স্টিম উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বন্ধ হওয়ার কারণে মঙ্গলবার রাতে টানা ৭ ঘণ্টা আখ মাড়াই বন্ধ রাখতে হয়। ফলে বুধবার উল্লিখিত সময়ে প্রায় ২০০ টন মাড়াইকৃত আখের রস ড্রেনআউট হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিলের কয়েকজন শ্রমিক জানান, মিল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় বুধবার ওই ২০০ টন মাড়াইকৃত আখের রস ফেলে দেয়া হয়। এর আগে চলতি মৌসুমেই গত ৫ ও ৭ ডিসেম্বর রাত ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত একইভাবে তরল চিনি ফেলে দেয়া হয়। এতে মিলের প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা চাকরিচ্যুতির ভয় দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
মিলের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি খন্দকার শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন বলেন, তারা দুর্নীতিমুক্ত ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিনিকলটিকে টিকিয়ে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আখ না পাওয়ায় আগামী ৩০ জানুয়ারি মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। আখ সংগ্রহ কমিটি থাকলেও প্রত্যক্ষভাবে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ে না। পরীক্ষাগারে ড্রেনআউট করা সিরাপ ও রসে চিনির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
মিলের মহাব্যবস্থাপক (ফ্যাক্টরি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মিলের ক্রাসিং বন্ধ থাকলে বয়লার হিটারের ভেতর কাঠের পাটাতন চুইয়ে কিছু রস পড়তে পারে। তবে এই রসের সঙ্গে কোনো চিনি থাকে না।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর বলেন, যান্ত্রিক ত্রæটির কারণে মঙ্গলবার রাতে টানা ৭ ঘণ্টা মিলের

মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলায় মাড়াই কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার অভিযোগে ৫ কমকর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে শোকজের জবাব দেয়ার জন্য তাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়