লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

দর্শনা-মুজিবনগর দুই লেন সড়ক নির্মাণে অনিয়ম : ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি : দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক দুই লেন প্রকল্পের কাজে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি। ১২টি বক্সকালভার্ট নির্মাণ করতেই দুই বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর সময় বাড়িয়ে নিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নির্মাণকাজের সময় সওজের ইঞ্জিনিয়ার মো. রফিকুল ইসলাম সাইডে না থাকার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার কাজ ধীরগতিতে চলার কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা। যানবাহন চলাচলে ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। প্রতিদিনই জনগণকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
জানা গেছে, দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক দুই লেন প্রকল্পের কাজে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে নাটুদাহ ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত বরাদ্দ ১২০ কোটি টাকা। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার ৭ কিলোমিটার পর্যন্ত রাস্তার কাজে বরাদ্দ ২৯ কোটি টাকা। মোট ১৪৯ কোটি টাকার কাজটি পান মেহেরপুরের ঠিকাদার মো. জহিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা-মুজিবনগর মহাসড়কের দুই লেন রাস্তার কাজ উদ্বোধন করা হয়। গত ২ বছরে রাস্তার ১২টি বক্সকালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। কালভার্ট তৈরির পর রাস্তা ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। নির্মাণকাজের প্রথমে দুপাশের বাড়তি ৩ ফুট প্রশস্তকরণে সাববেজ তৈরিতে বালু ও খোয়ার মিশ্রণের বদলে দেয়া হচ্ছে বালু ও খোয়া। এতে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি স্থানীয় সচেতন মহলের। এ বিয়য়ে ঠিকাদার মো. জহুরুল ইসলামের দর্শনা-মুজিবনগর কাজের ম্যানেজার বিপ্লব হোসেন বলেন, আমরা ভালো বালু ও খোয়া দিয়ে সাববেজের কাজ করছি। বালু ও খোয়া মেশানো শেষের দিকে বলে দেখতে মাটি মনে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথের সাইড ইঞ্জিনিয়ার মো. রফিকুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে বলেন, আপনারা যখন আসেন তখন আমি হয়তো রাস্তার অন্য কোথায় থাকি। আমি রাস্তায় কাজ দেখতে সকাল ৬টায় আসি আর বাড়ি যাই রাত ৮টায়। রাস্তায় ১ বস্তা বালু ২ বস্তা খোয়ার মিশ্রণে সাববেজ তৈরি করছে। কিছু জায়গায় লোকাল বালু দিয়ে কাজ করায় আমি সাববেজ তুলে দিয়ে কুষ্টিয়ার বালু দিয়ে কাজ করেছি। ঠিকাদার মো. জুহুরুল ইসলাম কুষ্টিয়ার মোটা বালু দিয়ে কাজ করছেন। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার বলেন, বিষয়টি সওজকে দেখার জন্য জানিয়েছি। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়