লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

করোনা শনাক্তের হারে নতুন রেকর্ড : মৃত্যু বেড়ে ২০

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : টানা ৩ দিন দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সাড়ে ১৫’শর বেশি। চতুর্থ দিনের দিন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমলেও নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হারের নতুন রেকর্ড হয়েছে। এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল গত ২৪ ঘণ্টায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৫টি পরীক্ষাগারে ৪৬ হাজার ২৬৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এতে সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ১৫ হাজার ৪৪০টিতে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
এর আগে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই শনাক্তের হার ছিল ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা এতদিন সর্বোচ্চ ছিল। এরও আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ যখন প্রথম দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় ওই দিন ৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ মিলেছিল ৩টিতে। ওই দিন শনাক্তের হার ছিল ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কম হওয়ায় সেটি রেকর্ডে ধরা হয়নি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী; বৃহস্পতিবার ৪৯ হাজার ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয় ১৫ হাজার ৮০৭ টিতে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বুধবার ৪৯ হাজার ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের উপস্থিতি মিলেছে ১৫ হাজার ৫২৭ টিতে। শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক ৬৪ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছিল ১৭ জনের। মঙ্গলবার পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২টি নমুনা। রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৩ জন। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৫টি। এর মধ্যে রোগী শনাক্ত হয় ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭১ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৯ জন। আর মোট প্রাণহানির সংখ্যা ২৮ হাজার ৩০৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৮৮ জন এবং নারী ১০ হাজার ২২০ জন। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬১ শতাংশ। সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের ৮ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। বয়স বিবেচনায় ১০ বছরের কম বয়সি ১ জন, দশোর্ধ্ব ২ জন, বিশোর্ধ্ব ১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১ জন, সত্তরোর্ধ্ব ৭ জন, আশিঊর্ধ্ব ৫ জন আর নব্বই ঊর্ধ্ব ১ জন। বিভাগ বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের ৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগের ১ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের ১ জন। ১৭ জন সরকারি হাসপাতালে ও ৩ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়