লাইসেন্স ছাড়াই ৭ বছর ট্রাক চালায় জসিম

আগের সংবাদ

ফাইভ-জিতে অনাগ্রহ কেন : তরঙ্গ নিলামের শর্ত ও নীতিমালা চূড়ান্ত হয়নি > ‘বুঝে-শুনে আগে বাড়তে চায় বেসরকারি অপারেটররা

পরের সংবাদ

ইটভাটার গ্রাসে জলাশয় হচ্ছে ফসলি জমি : শিবালয়

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুরেশ চন্দ্র রায়, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) থেকে : শিবালয়ে ইটভাটার কারণে প্রতিবছরই কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। ভাটায় মাটির জোগান দিতে গিয়ে তিন ফসলি জমি পরিণত হচ্ছে জলাশয়ে।
উপজেলায় ৬টি ইটভাটার মধ্যে এ বছর ৩টি চালু রয়েছে। এসব ভাটায় প্রতিদিন কয়লার মাধ্যমে পোড়ানো হচ্ছে ইট। আর ভাটার বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ, কৃষি ও প্রাণিজগতের ওপর। হুমকিতে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর উপজেলায় মেসার্স ইছহাক ব্রিক ফিল্ড, মেসার্স আফতাব ব্রিকস কোং ও মেসার্স সিডনী ব্রিক ফিল্ড নামে ৩টি ভাটা চালু রয়েছে। এসব ইটভাটায় মাটির জোগান দিতে প্রতিবছরই ৩ ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হচ্ছে। জেলায় হ্রাস পাচ্ছে খাদ্যশস্য উৎপাদন। এছাড়া দূষণের কবলে পড়ছে এলাকার মানুষ।
এদিকে অবৈধভাবে ভাটার চালানোর কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। লাইসেন্সবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ইটভাটা উচ্ছেদে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অদৃশ্য নিয়মে থেমে নেই মাটি কাটার যজ্ঞ। চলতি বছর ফসলি জমি রক্ষায় ২০১৩ সালের পরিবেশ আইন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন জমির মালিকসহ সচেতন উপজেলাবাসী।
মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উথলীতে মেসার্স ইছহাক ব্রিকসের ইট পোড়ানোর লাইসেন্সের মেয়াদ শেষে হয়েছে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর। ছাড়পত্র নবায়নের সময় ২০২০ সালের ২৭ পার হয়েছে। ফলসাটিয়ার মেসার্স আফতাব ব্রিকস কোং-এর ছাড়পত্র নবায়নের সময় শেষে হয়েছে ২০ মে ২০২০ তারিখে। কাতরাসিনের মেসার্স সিডনী ব্রিক ফিল্ডের পরিবেশগত ছাড়পত্র থাকলেও তাদের নবায়ন এবং ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ রিয়াজুর রহমান জানান, ইটভাটার কারণে প্রতি বছর অনেক ফসলি জমি হ্রাস পাচ্ছে। ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে নেয়ায় ফসল উৎপাদন কমে যাচ্ছে ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূর আলম বলেন, জেলা এবং উপজেলায় যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে আমরা অতি সত্বর স্থানীয় প্রশাসন নিয়ে অভিযান চালাব। ইতোমধ্যেই সিংগাইরের কয়েকটি ভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে।
শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন সুলতানা দৈনিক ভোরের কাগজকে বলেন, অবৈধ ইটভাটা কোনোক্রমেই চলতে দেয়া যাবে না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়