তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন : জমি অধিগ্রহণে আমার কোনো সম্পর্ক নেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জমি অধিগ্রহণের সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের কারো আর্থিক কোনো সম্পর্ক নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্তও দাবি করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে এই বিষয়ে আমার ভাই ও আমাকে রাজনৈতিকভাবে জড়ানো হয়েছে। তবে আমি খুব স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- চাঁদপুরে আমার ক্রয়সূত্রে কোনো জমি নেই। উত্তরাধিকার সূত্রে আমার পৈতৃক ভিটায় কোনো জমি হয়তো থাকতে পারে। এছাড়া আমার কোনো জমি নেই। রিপোর্টে নাম এসেছে ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, তিনি একজন বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিৎসক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি একটি হাসপাতাল ও বৃদ্ধাশ্রম করতে কিছু জমি কেনেন। পরে তা হস্তান্তরও করে দেন। চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয়টির জমি নিয়ে যে অভিযোগ এসেছে, তা অনেকটা পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতির অভিযোগের মতো একটি অভিযোগ। যেখানে অর্থ বরাদ্দ বা লেনদেন হয়নি। জমিও ক্রয়-বিক্রয় হয়নি। অথচ সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয়।
ডা. দীপু মনি বলেন, প্রকাশিত রিপোর্টে আরো কিছু মানুষকে আমার পরিবারের সদস্য বলা হয়েছে। তারা আমার রক্তের পরিবারের সদস্য নন। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। আমি জানি না আমার রক্তের পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য কোনো ঝুঁকি নেবেন কিনা! কিন্তু আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যরা আমার জন্য ঝুঁকি নেবেন। আর আমার রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য সারাদেশেই আছেন।
চাঁদপুরের সরকারদলীয় এক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেন, এগুলো আমার এবং দলের জন্য অবশ্যই বিব্রতকর ব্যাপার। যদি কোনো সমস্যা কোথাও থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমাদের দলের নির্দিষ্ট ফোরাম আছে। তারা সে ফোরামে বলতে পারতেন। কিন্তু তা না করে গণমাধ্যমে এসব নিয়ে যাওয়া কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করব না।
তবে আমি যেহেতু দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছি। দলের শৃঙ্খলার বাইরে আমি যাব না। তাদের বিষয়ে কিছু বলার থাকলে, আমি সেটা আমার দলের ফোরামে বলব। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে যেসব এসেছে তার সব ডকুমেন্ট আমি আমার দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আপাতত কিছু বলব না।
জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, জমির মূল্য নির্ধারণ করেন জেলা প্রশাসক। এখানে ৬২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ১৩ জনকে নিয়ে একটি কমিটি করে প্রাক্কলন করা হয়। এর বাজার মূল্য ১৯৩ কোটি টাকা। এর আগে এর প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ৫৫৩ কোটি টাকা। আর ১৯৩ কোটি টাকার ২০ গুণ কখনোই ৫৫৩ কোটি টাকা নয়, যা গণমাধ্যমে এসেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, শুধু চাঁদপুর বিশ্ববিদ্যালয় নয়, চাঁদপুরে যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিলেই একটি মহল নানা অপপ্রচার করতে শুরু করে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের বিষয়েও একই সমস্যার কথা উঠে এসেছিল। আসলে যখনই কোনো বড় প্রকল্প শুরু হচ্ছে তখনই এমন বাধা আসে। তবে যত কিছুই করা হোক না কেন, কোনো প্রকল্পই থেমে থাকবে না। চাঁদপুরের মানুষের জন্য জন্য নেয়া এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হবেই।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দুই বছর পর জাতীয় নির্বাচন। এছাড়া আমি সরকারের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলেরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি। তাই আমাকে রাজনৈতিক এবং আমার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার করছে। এ ব্যাপারে আমি আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথাও ভাবছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়