তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

শতাধিক মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন চন্দ্রশেখর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস, সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কর্মকর্তাসহ উচ্চপদস্থদের পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় তদবির পাঠাতেন চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি (৪২)। কোনো কর্মকর্তার পরিচয় ব্যবহার করার আগে তার কণ্ঠ নকল করার প্র্যাকটিস করতেন চন্দ্রশেখর। কথাও বলতেন আসল কর্মকর্তার মতোই অবিকলভাবে। এভাবে প্রতারণা করার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ, বদলি, স্কুল কলেজে ভর্তি, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো, গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশ পাস এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলে শতাধিক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।
অভিনব পন্থায় প্রতারণা চালিয়ে যাওয়া চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নাজনীনবাগ এলাকা থেকে চন্দ্রশেখর মিস্ত্রিকে গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীর সিভি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের বদলির আবেদন, সরকারি স্কুল-কলেজের ভর্তির আবেদন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নাম, একাধিক সিল, ৬টি মোবাইল, ৪টি ডেবিট কার্ড ও বিভিন্ন ব্যাংকের চেক জব্দ করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গ্রেপ্তার চন্দ্রশেখরের আসল নাম চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি হলেও তিনি নিজেকে শেখর নামে পরিচয় দিতেন। গত ২০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিফ কম্পট্রোলার পরিচয়ে চন্দ্রশেখর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন করে একজন ছাত্রকে ভর্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন অধ্যক্ষ। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগেও চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এখন পর্যন্ত চন্দ্রশেখর মিস্ত্রি শতাধিক লোকের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে জানা গেছে। চন্দ্রশেখরের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। এর আগেও তিনি প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়