তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

মহম্মদপুরে অতিথি পাখির কলরব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মুরাদ হোসেন, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে : প্রতি বছরের মতো এবারো শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে দলবেঁধে আসা পাখির কিচিরমিচির শব্দে প্রত্যেহ ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের। অতিথি পাখির মনোরম উপস্থিতিতে মাগুরার মহম্মদপুরের প্রকৃতিতে এনেছে নতুন রূপ। তাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। আবার ভিনদেশি এসব পাখি হয়ে উঠেছে বিভিন্ন বয়সি মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।
মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক এই দৃশ্য উপজেলা সদরের ঘোপ বাঁওড়ে। ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমনে বৈচিত্র্যময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের যেন মেলা বসেছে ঘোপ বাঁওড়ের বিশাল জলায়তন জুড়ে। শীত মৌসুমের শুরুতেই প্রতি বছরই এসব পাখির বিচরণ লক্ষ করা যায়। পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। চোখে পড়ে মন মাতানো এক অপরূপ দৃশ্য। যেন পাখিদের জন্য নিরাপদ অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ঘোপ বাওড়টি। সরজমিনে দেখা যায়, ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখিদের ডানা মেলে উড়া, পানিতে ডুব দিয়ে আহার শিকার করার মতো মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। মনে হয় যেন দল বেঁধে নেমে পড়েছে খাদ্য সংগ্রহের প্রতিযোগিতায়। এরকম খাদ্যের অভিযান ও ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সূর্যদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। আবার কচুরিপানার উপরে বসেও বিশ্রাম নিতে দেখা যায় পাখিদের।
চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক এই মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটে আসেন বাঁওড়ের তীরে। আগত ব্যক্তিরা দূর থেকেই দুচোখ ভরে উপভোগ করেন পাখির কলরব, মিতালী আর মাতামাতি। যা অন্যরকম এক অনুভূতি।
তেমনই অনুভূতির কথা ব্যক্ত করলেন এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা শিক্ষক আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, প্রতি বছর শীতের শুরুতেই বাঁওড়ে এই অতিথি পাখির দেখা মেলে। অতিথি পাখি ঝাঁক বেঁধে বিচিত্র স্বরে ডাকতে ডাকতে উড়ে চলা, খাবার সংগ্রহ করা কিচিরমিচির শব্দে বাঁওড়ের পানিতে নেমে আহার শিকারের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠা। এসব সুন্দর দূশ্য আমাদের মুগ্ধ করে তোলে। তাই পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।
বাঁওড় কুলের বাসিন্দা প্রভাষক এস এম আজগার আলী বলেন, প্রতি বছর শীতের সময় অতিথি পাখিদের আগমনে মুখরিত থাকে ঘোপ বাঁওড়। আমরা এ অতিথিদের অপেক্ষায় থাকি। শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে আসে এসব অতিথি পাখি। শীত কমতে শুরু করলেই আবার তাদের দেশে ফিরে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল জানান, এই অতিথি পাখি শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়। এরা ভারসাম্যও রক্ষা করে। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঘোপ বাঁওড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং অতিথি পাখিদের এই অভয়ারণ্য নিরাপদ রাখতে আমাদের লোকজন নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন। পাখি সঙ্গে বিরূপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়