তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

ভয় দেখিয়ে শিশু ধর্ষণ : যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত উত্তম অবশেষে গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : এসিডে ঝলসে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করে এক যুবক। ধর্ষণের দায়ে ওই ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজাও হয়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ঘটনার পর দীর্ঘ ৫ বছর ধরে উত্তম তালুকদার (৪২) নামে এই আসামি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অধরা ছিল। এমনকি মামলা করায় নির্যাতন ও হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর বড় ভাইকে। অবশেষে সেই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন রেলওয়ে কলোনি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, মোবাইল ব্যবহার না করায় তার অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছিল না।
র‌্যাব জানায়, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার জামুয়াইন এলাকার বাসিন্দা উত্তম তালুকদার প্রতিবেশী ১০ বছরের এক শিশুকে এসিডে ঝলসে দেয়ার হুমকি, পরিবারের সদস্যদের হত্যার ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে। সবশেষ ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ৫ম শ্রেণিতে পড়–য়া ওই শিশুকে আবারো ধর্ষণ করে উত্তম। শিশুটি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে শিশুটির ভাই রাউজান থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারে উত্তম তালুকদারকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। কিন্তু সে দীর্ঘদিন কক্সবাজারে আত্মগোপনে থাকে। ধর্ষক পরিবারের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে যায় নির্যাতিত শিশুর ভাই। তবে ২০১৮ সালে রায়ের পর আবার অপরাধীকে আইনের আওতায় চেষ্টা করে মামলার বাদি।
র‌্যাব-৭’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এম এ ইউসুফ জানান, এসিড মারার ও হত্যার হুমকি দিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে উত্তম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধর্ষক উত্তম মামলা পরবর্তী একবারও গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হয়নি। সে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মগোপনে ছিল। ধূর্ত উত্তম কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না, এমনকি কোন মোবাইলও ছিল না। বারবার স্থান পরিবর্তন করত। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়