তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

বসানো হলো মেট্রোরেলের শেষ ভায়াডাক্ট : উত্তরা-মতিঝিল মেলবন্ধন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বপ্নের মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ আরো এগিয়েছে। শেষ ভায়াডাক্ট বসানোর মধ্য দিয়ে প্রকল্পের ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার একটি রাস্তা পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল একসঙ্গে যুক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিলারের মাঝখানের ফাঁকা অংশে সর্বশেষ ভায়াডাক্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে বসানো হয়।
ভায়াডাক্টটি বসানোর সময় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর ব্যাপারে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রথম অংশে মেট্রোরেল বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সার্বিক কাজের গড় অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বপ্নের মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চালু হবে। এই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই অংশে সব ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়। গত বছরের ২৯ আগস্ট প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলের ভায়াডাক্টের উপর পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়। সেদিন ৬টি বগি নিয়ে দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত গিয়ে আবার ডিপোতে ফিরে যায় ট্রেন। এরপর থেকে নিয়মিতই পরীক্ষামূলক যাত্রা চলছে। অন্যদিকে ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৮ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গতকাল এ অংশের সর্বশেষ সেগমেন্ট বসানোর মাধ্যমে উত্তরা থেকে মতিঝিল একসঙ্গে যুক্ত হলো। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অগ্রগতি। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই রেললাইন বসানো হবে।

মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ ভায়াডাক্টটি বসানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তরার দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত সব ভায়াডাক্ট বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যেই আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। লাইন বসানোর পাশাপাশি স্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও এগিয়ে চলছে। গতকাল সকাল ১১টার পর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের ৫৮২ ও ৫৮৩ নম্বর পিলারের মাঝখানে ভায়াডাক্টটি বসানো হয়।
তারা জানান, নিচের কাজ শেষ হওয়ায় আগামী এপ্রিল মাসে মিরপুর এলাকায় প্রকল্পের নিচের সড়ক আবার আগের মতো খুলে দেয়া হবে। কিন্তু ওমিক্রন সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে আমরা কিছুটা শঙ্কায় আছি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। তবে পরবর্তীতে প্রকল্পের কাজে নতুন নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করা হয়। ফলে প্রকল্পে আরো প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে। যেমন- ১৬টি স্টেশন নির্মাণ করা হলেও এগুলোর নিচে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাই যাত্রীদের সহজে ওঠানামা করতে কিছুটা অসুবিধা হবে। এই সমস্যা দূর করতে পরবর্তীতে স্টেশনের পাশের আরো জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ফুটপাত উন্নত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। উত্তরাসহ কয়েকটি স্টেশনে প্রকল্পের আয় হবে এমন কিছু অবকাঠামো-যেমন দোকান নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করতে ৫ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে। ডলারের বিনিময় মূল্য বেড়ে যাওয়ায় আরো কিছু ব্যয় বাড়বে। তবে বর্তমান নির্মাণকাজের কোনো ব্যয় বাড়বে না। বাড়তি ব্যয়টি আলাদা প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়