তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

বনানীতে অবৈধ গ্যাস : সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তিতাসের অভিযান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বনানীতে তিতাসের পাইপলাইন থেকে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে কড়াইল বস্তি ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বনানীর বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজ এই অবৈধ সংযোগের গ্যাস থেকে চলে। প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে এবং ড্রেনের ভেতর থেকে লাইন টানা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তিতাসের মোবাইল কোর্টের অভিযানকালে এসব খুঁজে পাওয়া যায়।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে তৃতীয়বারের মতো অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে তিতাস মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শুরু করে। এ সময় রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শত শত অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। একইসঙ্গে জরিমানাও আদায় করা হয়। এই অভিযানের এক পর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বনানী এলাকায় তিতাসের মোবাইল কোর্ট অভিযান শুরু করে। অভিযানের শুরুতেই বনানী ১ নম্বর সড়কে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এই সড়কে কোনো অবৈধ সংযোগ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর মোবাইল কোর্ট বনানী-২ নম্বর সড়কে অভিযান শুরু করে। তখন রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে অবৈধ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের সন্ধান পাওয়া যায়। মোবাইল কোর্ট আসার সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, পড়ে থাকে তাদের সবকিছু। মোবাইল কোর্ট মাটি খুঁড়ে অবৈধভাবে লাইন থেকে গ্যাস সংযোগ নেয়ার প্রমাণ পায়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। অথচ এই হোটেলের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। সবাই এক নজর দেখলে মনে করবে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেই এই হোটেলের রান্নার কাজ চলে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন।
আশপাশের আরো বেশ কিছু হোটেল অনেকদিন ধরে এভাবেই অবৈধ গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে চলে আসছে। চোরাইপথে নর্দমা ও ড্রেনের ভেতর দিয়ে মাটি খুঁড়ে লাইন টেনে নেয়া হয়েছে ঝিলপাড় পর্যন্ত যা সহজে কারো নজরে পড়েনি। এই ঝিলপাড়ে একটি টিনের ঘরের ভেতরে একাধিক পয়েন্ট সৃষ্টি করে অতি সাধারণ মানের চিকন পাইপ ও প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহার করে কড়াইল বস্তিসহ বিভিন্ন স্থানে লাইন টেনে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে- যা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না। বস্তিসহ হোটেল- রেস্তোরাঁয় গ্যাসের সংযোগ দেয়ার প্রমাণ পায় তিতাসের মোবাইল কোর্ট।
তিতাসের অঞ্চল-৪ এর কর্মকর্তা এনামূল হক ভূঁইয়া বলেন, অভিযানে নেমে এ ধরনের অসংখ্য লাইনের সন্ধান আমরা পাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হচ্ছে। বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় এভাবে অবৈধ সংযোগ কেউ নিতে পারে তা আমরা প্রথমে ধারণা করতে পারিনি। এখন বনানীর প্রতিটি সড়কে আমরা লাগাতার অভিযান চালাব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়