তথ্যমন্ত্রী : টিআইয়ের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে

আগের সংবাদ

নীরব মহামারি অসংক্রামক রোগ

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার : মাথা গোঁজার ঠাঁই পেল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৫ পরিবার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সালেহ এলাহী কুটি, মৌলভীবাজার থেকে : মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই পেয়েছেন মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অসহায় ভূমি ও গৃহহীন পাঁচ পরিবার।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থায়নে সমতলে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রমের আওতায় নির্মিত বাসগৃহ উদ্বোধন করে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।
২ শতাংশ জমি ও চারদিকে ইটের দেয়াল আর মাথার উপর রঙিন টিনের ছাউনি ঘর পেয়েছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মৌলভী চা বাগানের সামলা গড়াইত, হামিদিয়া চা বাগানের ফুলমতি উরাং, নারাইন ছড়ার সুমিত্রা রানী পাল, মনুমুখ এলাকার বাদল বর্মন ও বেলেশ্বরী বর্মন। ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাথা গোঁজার ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন অসহায় গৃহহীন নৃ-গোষ্ঠীর পরিবারগুলো।
গত বুধবার বিকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার প্রেমনগর চা বাগানে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ তার উন্নয়ন অভিযাত্রার গৌরবময় অধ্যায় পার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারাবাহিক নেতৃত্বে গত এক যুগে বাংলাদেশ একদিকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, অন্যদিকে উন্নয়ন এজেন্ডায় জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়ন বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সরকার অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তরের লক্ষ্যে গ্রহণ করছে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প, অন্যদিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর পরিধি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ভাবনায় কেউ পিছিয়ে থাকবে না। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিতকল্পে শেখ হাসিনার অন্যতম উদ্ভাবন আশ্রয়ণ প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সমৃদ্ধির আরো অগ্রযাত্রায় যেতে হলে, সোনার বাংলা গড়তে কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না, সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহায়ণের সঙ্গে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, স্যানিটেশন, শিক্ষা, পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে এই বিপুলসংখ্যক পরিবারকে গৃহ প্রদানের ঘটনা পৃথিবীতে আর কোনো দেশে সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে এসব গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি ঘর একটি ছিন্নমূল পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাসসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, এটি এখন প্রমাণিত।
এ সময় স্থানীয় সরকার উপপরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবদুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরীনা রহমান বাঁধন, চা বাগানের কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও উপকারভোগীর আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়