চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

১৪৪ কেন্দ্রে কার্যক্রম : কুতুবদিয়ায় টিকার আওতায় ৮২ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম এ মান্নান, কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) থেকে : কুতুবদিয়ায় হাসপাতাল, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রেই শুরু হয়েছে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম।
পূর্ব নির্ধারিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে শিশুদের টিকাদানের পরদিন দেয়া হচ্ছে প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনা টিকা। প্রতি ওয়ার্ডে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়ায় অতি সহজেই মিলছে করোনার টিকা। তবে এটি প্রচারণার অভাবে অনেকেই জানতে পারছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৬৬ হাজার ১৪৫ জন এবং জন্মনিবন্ধনের দ্বারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ হাজার ৮৯০ জন ছাত্রছাত্রীকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
ফলে উপজেলায় মোট ৮২ হাজার ৩৫ জনের অধিক মানুষ করোনা টিকার আওতায় এসেছেন। এছাড়া ১৫০ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান সৈয়দ কামরুল হাসান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে এবার ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৪৪টি কেন্দ্রে শিশুদের নির্ধারিত টিকাদানের পরদিন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে করোনার টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ২ জানুয়ারি থেকে।
জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কুতুবদিয়ায় প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করে শীর্ষে রয়েছেন তারা।
দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ওয়ার্ড কেন্দ্রভিত্তিক করোনার টিকা কার্যক্রমে ইতোমধ্যে তিনি তার ৬ কর্মদিবসে অন্তত ২০০ নারী-পুরুষকে করোনার টিকা প্রদান করেছেন। অনেকেই বয়স বেশি হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র না মেলায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে টিকা নিচ্ছেন। এসব কেন্দ্রে তিনি ছাড়াও একজন এফডব্লিউএ এবং ২ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের তারা এখন দ্বারপ্রান্তে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দীর্ঘদিন পর মাত্র একজন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, আনসারসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকায় দ্রুত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হচ্ছে । এ প্রসঙ্গে তিনি ১২ থেকে ১৮ বছরের নিচে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাসহ প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়