চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে কামাল বায়জীদ : মার্কিন অনুদানের হিসাব দেননি শিল্পকলার ডিজি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন থেকে অব্যাহতি পাওয়া সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এতে তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যার চেয়ে উল্টো শিল্পকলার ডিজি লিয়াকত আলী লাকীকে দুষলেন এবং বললেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী করোনাকালে থিয়েটার কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা অনুদানের হিসাব দেননি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক রফিক উল্লাহ সেলিমও।
গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের কার্যক্রম, সংকট ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ-ভাবনা শীর্ষক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। কামাল বায়েজিদ বলেন, আমার ও আমাদের অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেগুলো কী জানি না। কারা এতে সই করেছেন তাও জানা নেই। আমাকে অব্যাহতি দেয়ার কোনো কাগজও পাইনি। গত ২২ জানুয়ারি সংগঠনের কেন্দ্রীয় পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলম বাবু স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে। তাতে তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়।
বায়েজিদ বলেন, এই ফেডারেশন একটি সংবিধান অনুযায়ী চলে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। কিন্তু কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। আমি আইনি অ্যাকশনে যাব। তিনি বলেন, করোনাকালে কর্মীদের সাহায্যের জন্য চেয়ারম্যান আমার সই ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরেছি সেই সাহায্য এসেছে। কিন্তু সেই অর্থ বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটারের কোনো অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। কোনো নথিতেও নেই। চেয়ারম্যান কাকে এ অর্থ দিয়েছেন সেটারও হিসাব নেই। আমি হিসাব

দিতে বলেছিলাম, কিন্তু দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সারা দেশের থিয়েটারগুলো নিয়ে কনভেনশন করব। সবার মতামতের ভিত্তিতে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনকে সাজাব। সেখানে আমি থাকলাম কি থাকলাম না, তা দেখার বিষয় নয়। আমি চাই সংগঠন বেঁচে থাকুক, সুন্দর থাকুক।
তিনি জানান, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন বিভিন্ন অনুদান ও সদস্যদের চাঁদায় চলে। আমরা ৬৪টি জেলায় নাট্যোৎসব করেছি। মন্ত্রণালয় থেকেও বিভিন্ন সময় অনুদান দেয়া হয়। দায়িত্ব গ্রহণের সময় তহবিলে মাত্র ৭৪ টাকা ছিল। আমরা সাড়ে ৯ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করি। সেখানে এখন ৩৩ লাখ টাকা রয়েছে। এটা তো আমার ব্যক্তিগত টাকা নয়। এটি দেশের প্রত্যেক নাট্যকর্মীর। আমি এ টাকাগুলো এফডিআর করে রাখতে বলেছিলাম।
নাট্যমেলায় মঞ্চস্থ হলো ‘বহিপীর’ : জমিদার হাশেম আলি সূর্যাস্ত আইনে জমিদারি হারাতে বসেছেন। যা রক্ষা করতে বজরায় করে স্ত্রী খোদেজা ও পুত্র কাশেমকে নিয়ে রওনা হন। পথে তাদের বজরায় ঠাঁই পায় সদ্য বিবাহিত তরুণী তাহেরা ও বৃদ্ধ বহিপীর। দীর্ঘদিনের মুরিদানার গুরু দক্ষিণার পরিবর্তে পাওয়া স্ত্রী তাহেরা। বহিপীর যখন তার স্ত্রীকে উদ্ধারের প্রচেষ্টায় রত ঠিক তখনই জীবন সচেতন হাশেম যে কোনো মূল্যেই পীরের কাছ থেকে তাহেরাকে রক্ষা করতে চায়। জমিদারের স্ত্রী যেন চিরায়িত মুসলিম বাঙালি নারীর চিন্তার প্রকাশ। তাহেরা কার আশ্রিতা হবে তাই নিয়ে চিন্তা যখন চূড়ান্তে পৌঁছায় তখন হাশেম তার জমিদারি ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। পীর সচেতনতার সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে স্ত্রীর সঙ্গে চুক্তিপত্র রচনা করেন। আশ্রিতা তাহেরা কাউকেই খুশি করতে পারে না। তাহেরা পরবর্তীতে কী করবে তা নিয়েই এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের চার দিনব্যাপী নাট্যমেলার দ্বিতীয় দিনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হলো দলটির নাটক ‘বহিপীর’।
উনিশ শতকের শেষভাগ বা বিশ শতকের সূচনালগ্নের পটভূমিতে ‘বহিপীর’ নাটকটি রচনা করেছে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। দলটির ২৪তম প্রযোজনার এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন আফরিন হুদা তোড়া। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারহাদুল আমিন, নূরুল আলম, সাফায়েত দুর্জয়, আফরিন হুদা তোড়া, অরনিকা শ্রাবণী অথৈ, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়