চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

শৈলকুপায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের হুমকি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ষষ্ঠ ধাপে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে লাঠিসোটা নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রাখাসহ হাত-পা ভেঙে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন বিশ্বাস।
জানা যায়, গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে শৈলকুপায় ১২টি ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হয় ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
এ সময় বাকি থাকে নিত্যানন্দপুর ও মনোহরপুর ইউনিয়নের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। ষষ্ঠ ধাপে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি এই দুটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর বিকালে নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোটা ও বৈঠা নিয়ে গোপালপুর গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দেয় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
সে সময় নৌকার বিপক্ষে কাজ করলে হাত-পা ভেঙে ফেলাসহ নির্বাচনের পর বাড়ি ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও হুমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নৌকার প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দিয়ে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে ভোট করতে কেউ মাঠে নামলে তাদের হাত-পা ভেঙে ফেলাসহ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের হুমকিও দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, গোপালপুর গ্রামের সামাজিক মাতুব্বর নেকবার হোসেন ও তার কর্মী আবু সুফিয়ানের বাড়িতে গিয়ে তারা হুমকি-ধমকি দিয়েছে। এ বিষয়ে আমি সঠিক বিচার চেয়ে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু কর্মী গোপালপুর গ্রামে গিয়েছিল। নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় কিছু মানুষকে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। গ্রামের ভোটাররা কেউ কেউ বলছে আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট দেব। এজন্য তারা হুমকি দিয়েছে যেন নৌকার বাইরে কেউ কাজ না করে, ভোট না দেয়। এর বেশি কিছু নয়। তবে ভবিষ্যতে আর এমন কিছু করবে না।
তবে অভিযোগের বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস বলেন, আমার কোনো নেতাকর্মী নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে যায়নি। কাউকে ভয়ভীতি দেখায়নি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
গোপালপুর গ্রামের সাধারণ ভোটাররা বলেন, বিকালে চায়ের দোকানে বসেছিলাম। এমন সময় নৌকার সেøøাগান দিতে দিতে ২০-২৫ জন এসে আমাদের ভয় দেখায় যেন নৌকার বিপক্ষে কাজ না করি।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন বিশ্বাসের কাছ থেকে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখন পর্যন্ত ইউনিয়নে দায়িত্ব পালনের জন্য কোনো ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে চিঠি পাইনি। এই ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের চিঠি পেলে তাকে এবং থানাকে অভিযোগপত্রটির ফরোয়ার্ডিং দেব আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
প্রসঙ্গত, শৈলকুপা উপজেলায় সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র সারুটিয়া ইউনিয়নেই মারা গেছেন ৫ জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়