চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

শাবি ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সিলেট ব্যুরো : কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বদলে গেছে আন্দোলনে তপ্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চিত্র। গতকাল বুধবার সকালে অনশন ভাঙার পর দুপুর থেকে ক্যাম্পাসে কমেছে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা।
গতকাল সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক পানি পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। এরপর দুপুর ১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ফাঁকা হতে থাকে। বিকাল ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বা কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশনকারীদের বিছানাপত্র গোছাতে দেখা গেল কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীকে। পুরো ক্যাম্পাসে জনাকয়েক সাংবাদিক, আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দুয়েকজন ছাড়া আর কেউ নেই। চারদিকে সুনসান নীরবতা দেখে বোঝারই উপায় নেই ঘণ্টা কয়েক আগেই উত্তাল ছিল শিক্ষালয়টি।
উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনকারী সবুর খান বলেন, রাতে কেউ ঘুমায়নি। শিক্ষার্থীরা সবাই ক্লান্ত, বিশ্রামে গেছে। অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চলবে। সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে সবাই জড়ো হবে, তখন নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গতকাল ভোর ৪টার দিকে জাফর ইকবাল স্ত্রী ইয়াসমিন হককে সঙ্গে নিয়ে উপাচার্যের বাংলোর সামনে রাস্তায় শামিয়ানা টাঙিয়ে অনশনে বসা আন্দোলনকারীদের মাঝে উপস্থিত হন। প্রায় দুই ঘণ্টা তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের কথা শুনেন। জাফর ইকবাল শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে রাজি করান।
সাত দিন অনশন ভাঙার পরও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে নেবেন কিনা সেটা তারাই নির্ধারণ করবেন বলে পরে মন্তব্য করেন অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার ভাষায়, আমি অনশন ও আন্দোলনটাকে ভিন্নভাবে দেখি। অলরাইট। তাদের যে উদ্দেশ্য, এই আন্দোলন করার জন্য অনশন করার প্রয়োজন নেই। কারণ, যে মানুষটার জন্য তারা অনশন করতে যাচ্ছে তার জন্য প্রাণ দেয়াটা সমীচীন না। তারা যদি আন্দোলন করতে চায়, সেটা তাদের সিদ্ধান্ত।
শাবির আরেক শিক্ষার্থী আমিনা জানান, অনশনরত ছিলেন ২৮ জন। এর মধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাগিব-রাবেয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে ২৪ জন; বাকি চারজন বাড়িতে গেছেন। তারা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেবেন।
রাগিব-রাবেয়া হাসপাতালে অবস্থানরত স্বেচ্ছাসেবক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আদিল বিকাল ৩টার দিকে জানান, অনশনে যারা ছিল তাদের মধ্যে হাসপাতালে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আরো ২ থেকে ৩ জনকে ভর্তি করানো লাগতে পারে। তিনি বলেন, ভর্তি হওয়া ছয়জনের মধ্যে তিনজনের প্রচণ্ড জ্বর ও খিঁচুনি আছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেবে। অনেকে সাময়িক চিকিৎসা করে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নেবে বা অন্য কোথাও গিয়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়