চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এ চক্রের সদস্যরা ৩টি দলে ভাগ হয়ে কাজ করে। নাম্বার স্পুফিং বা ক্লোনিংয়ের জন্য রিকশাচালক, ভ্যান চালক, খেটে খাওয়া মানুষ ও সহজ সরল মানুষের এনআইডি দিয়ে সীমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। টাকা ভাগবাটোয়ারর ক্ষেত্রে প্রতি ১ লাখ টাকায় এসআর পায় ২০-২৫ হাজার টাকা, যে এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয় সে পায় প্রতি ১০-১২ হাজার টাকা ও বাকি ৬৫-৭০ হাজার টাকা প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যরা ভাগ করে নেয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এ চক্রের ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনের বেশি ভিকটিমকে প্রতারিত করে প্রায় ১ কোটির ওপর অর্থ আত্মসাৎ করেছে প্রতারক চক্রটি।
নাম্বার স্পুফিং বা ক্লোনিং করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক। গতকাল বুধবার বিকালে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সিও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে নাম্বার স্পুফিং বা ক্লোনিং করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাকার চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নুরুজ্জামান মাতুব্বর (৩৫), সজিব মাতুব্বর (২১) ও সুমন শিকদার (৪৫)। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নামের ২৪টি সিম ও ১৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো বলেন, চক্রের সদস্যরা পৃথক দলে ভাগ হয়ে কাজ করে। প্রথম সারির দলের সদস্যরা মোবাইল ব্যাংকিং হেড অফিসের অসাধু কর্মকর্তার-কর্মচারীর থেকে এসআর এর নাম্বার জোগাড় করে। অতঃপর এসআ রকে মোবাইলে ফোন করে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের দলে যোগ দিতে উদ্বুুদ্ধ করে। কিছু কিছু অসাধু এসআর প্রতারক চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত হয়। সময় সুযোগ বুঝে এসআর প্রতারক চক্রের সদস্যকে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন দিয়ে বলতো এখন কাজ হবে ফোন দেন। সাধারণত যখন মূল এজেন্ট দোকানে উপস্থিত থাকে না, তার অন্য কোনো প্রতিনিধি বা যে এজেন্ট একটু সহজ সরল তাদেরই মূল টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করে এসআর প্রতারক চক্রের সদস্যকে তথ্য সরবরাহ করে। এরপরই শুরু হয় টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া। দ্বিতীয় সারির দলের সদস্যরা প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এসআর-এর নাম্বার স্পুফিং বা ক্লোনিং করে নানা কায়দায় এজেন্টের কাছ থেকে পিন নম্বর নিয়ে এজেন্টের একাউন্ট নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। পরে এজেন্টের একাউন্টে থাকা সমুদয় অর্থ প্রতারক সদস্যরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাদের অন্যান্য সহযোগীদের কাছে ট্রান্সফার করে দেয়। আর তৃতীয় সারির দলের সদস্যরা অন্যের নাম-ঠিকানা দ্বারা নিবন্ধিত সিমকার্ড ব্যবহার করে ভূয়া মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়