চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

মান্নান নিখোঁজ নাকি খুন জানা যায়নি ১৭ বছরেও

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : ১৭ বছর আগে নিখোঁজ চৌগাছার যুবক মান্নানের (২৬) ভাগ্যে কী ঘটেছে তা জানা যায়নি আজও। ২০০৪ সালে ঈদুল আজহার সময় বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। দুই সন্তানের জনক মান্নান উপজেলার গরিবপুর গ্রামের মৃত সায়েদ আলীর ছেলে। তার বন্ধু সোলেমান (২৬) একই গ্রামের মৃত জাহবক্সের ছেলে।
জানা যায়, গরিবপুর গ্রামের বিএনপি কর্মী মান্নান ও সোলোমান ১৭-১৮ বছর ধরে নিখোঁজ। মান্নানের স্ত্রী চায়না বেগম জানান, সে দিন দুপুরের দিকে সোলেমানের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মান্নান। পরে সোলেমান একা ফিরে আসেন। মান্নান ফিরে না আসায় তার বাবা সায়েদ আলী সোলেমানের নাম উল্লেখ করে চৌগাছা থানায় জিডি করেন। জিডির বিষয়টি সোলেমানের ভাই ভাদুড়ি নিশ্চিত করেছেন। মান্নান নিখোঁজের ঘটনা নিয়ে তৎকালীন উপজেলা বিএনপির নেতারাও গ্রামে মিটিং করেছিলেন। নিজের বাবা-মায়ের মৃত্যুতেও তাকে দেখা যায়নি। সোলেমানের বিষয়ে তার বড় ভাই সুলতান ওরফে ভাদুড়ি বলেন, মান্নান নিখোঁজের ৫-৭ দিন খুব ঝামেলায় সৃষ্টি হয়। তখন সোলেমানকে বিএনপি নেতাদের কাছে হাজির করেছিলাম। কিন্তু উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ দফাদার ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন আহমেদ বলেন, সে মিটিংয়ে সোলেমান উপস্থিত ছিল না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘটনার দিন আমি, সোলেমান, মান্নান এবং ধুলিয়ানীর মোস্ত অবৈধভাবে ভারতের বয়রা থেকে বাসে করে গাড়াপোতায় যাই। সেখানে শামীমের সঙ্গে দেখা হলে সে আমাদের একটি বাড়িতে নিয়ে মদ খাওয়ায়। অপর প্রত্যক্ষদর্শী চৌগাছা কুঠিপাড়া গ্রামের আমিনও একই কথা বলেন।
সেই বাড়িতে মদ খাওয়ার সময় মান্নান, সোলেমান, মোস্ত, কিলার শামীম, বেনাপোল কাগজপুকুরের আমিরুল আর গাড়াপোতার আরো দুজন ছিলেন বলে দুজন প্রত্যক্ষদর্শীই নিশ্চিত করেন। আমিন বলেন, কিলার শামীম, আমিরুল গাড়াপোতার ইউনুচ এবং খলিল মিলে মাধবের বাড়িতে মদ খাওয়া অবস্থায় মান্নানকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে। পরে ওই রাতেই গাড়াপোতার অজিতের মোটরসাইকেলে করে মান্নানের লাশ ভারতের হেলেঞ্চা আর অসাড়– বাজারের মাঝে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে আসে শামীম।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে কিলার শামীম ২টি হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ফেরারি হয়ে ভারতের গাড়াপোতায় থাকত। রাজনৈতিক কারণে কুঠিপাড়া গ্রামের আমিনসহ আরো অনেকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই প্রত্যক্ষদর্শীসহ নির্ভরযোগ্য একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, জোট সরকারের আমলেই মান্নানের সঙ্গে কিলার শামীমের প্রভাব বিস্তার নিয়ে দ্ব›দ্ব ছিল। প্রতিপক্ষ মান্নানকে সরাতে তার কাছের বন্ধু সোলেমানকে ম্যানেজ করেছিল শামীম। মান্নানের নিখোঁজের সেই জিডি পরবর্তী সময়ে অপহরণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। এদিকে থানা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের একটি অপহরণ মামলায় সোলেমানের ৫ বছর সাজা হয়। সোলেমান নিখোঁজ কিনা জানতে চাইলে চৌগাছা থানার বর্তমান ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ঘটনা অনেক দিন আগের হওয়ায় তেমন কিছু জানি না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়