চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোয় বৃদ্ধের ১৪ বছর জেল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : দুই কিশোরীকে কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে আল-আমিন ওরফে আকিল নামে এক বৃদ্ধকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আল-আমিনের বাসা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার চান্দাই এলাকায়। সে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই ঘোষণা করা হয় এ রায়। তবে পৃথক আরেকটি মামলায় সে ওই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তও। আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর কথা বলে এলাকার ১৪ বছর বয়সি এক কিশোরীকে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে আল-আমিন। এরপর থেকে ওই কিশোরীকে নিয়মিত ধর্ষণ করা হতো। একই বছরের ১৫ নভেম্বর ১৩ বছরের আরেক কিশোরীকে কৌশলে কবিরাজি চিকিৎসার নামে ধর্ষণ করে সে। দুজনকে ধর্ষণেরই ভিডিও করে রাখে ওই বৃদ্ধ। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে দুই কিশোরী মারা যাবে বলে তাদের দেখানো হয়েছিল ভয়। এরই মাঝে আবারো ধর্ষণের জন্য দুই কিশোরীকে ওই বৃদ্ধ কাছে ডাকে। কিশোরীরা ডাকে সাড়া না দেয়ায় আগের ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইলে ছড়িয়ে দেয় সে।
এ বিষয়ে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোছা. ইসমত আরা বলেন, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ভুক্তভোগী এক কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে নাটোরের আদালতে বৃদ্ধ আল-আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর নাটোরের আদালত থেকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারার অংশটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে এটি এখানে আসে। এখানে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
এডভোকেট ইসমত আরা জানান, রাজশাহীর আদালতে শুধু ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার বিচার হলো। ধর্ষণের জন্য মামলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারার অংশটির বিচার চলছে নাটোরের আদালতে। ওই অংশটুকুর রায় এখনো হয়নি। মামলা একটি হলেও ধারা আলাদা থাকার কারণে বিচার দুই আদালতে চলমান ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়