চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান : শেয়ারবাজার ও বিমায় আস্থা ফেরাতে হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ সার্বিকভাবে ডিজিটালাইজেশনে অনেক বেশি অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের স্ট্যান্ডার্ড মাত্র শুরু হলো। দেশের অর্থনৈতিক সূচক অগ্রগতি অনেক ভালো। তবে শেয়ারবাজার ও বিমায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছি। এ দুই জায়গায় এখনো আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পারছি না।
দেশের সাধারণ মানুষ এখনো মনে করেন, এ দুই জায়গায় যারা বিচরণ করেন তারা ভালো মানুষ না। এখানে বিনিয়োগ করলে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা ঠকায়। এ অনাস্থা কাটিয়ে তুলতে হবে। এ দুই জায়গায় উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে দেশের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, গত এক বছরে শেয়ার মার্কেটে অনেক উন্নতি হয়েছে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন প্রায় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এখনো শেয়ারমার্কেট নিয়ে গর্ব করার মতো কোনো স্থান তৈরি হয়নি। এখন পর্যন্ত আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন জিডিপির ২০ শতাংশের নিচে।

আশার কথা হচ্ছে, বর্তমানে আমাদের রেগুলেটরি বডিতে যারা আছেন, তারা অত্যন্ত ডায়নামিক। তারা অনেক ভালো কাজ করেছে। নতুন পণ্য আনার চেষ্টা করছে। আমরা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি ভালো প্লাটফর্ম তৈরির চেষ্টা করছি। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে একটি অত্যন্ত আধুনিক এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের এক্সচেঞ্জের সঙ্গে তুলনা করা যায় এমন একটি প্লাটফর্ম এখানে তৈরি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আস্তা যদি আমরা অর্জন করতে পারি, আমাদের কথা এবং কাজে যদি অমিল না থাকে তবে অচিরেই শেয়ারবাজারকে ‘ফ্রন্টিয়ার মার্কেট’ থেকে ‘ইমার্জিং মার্কেটে’ নিয়ে যাব।
ডিএসইর পেপার বা কাগজ থেকে অনলাইনে সব কাজকর্ম শুরু করার উদ্বোধনীতে গতকাল বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আংশিক পেপারবিহীন কার্যক্রম শুরু করবে ডিএসই। চলতি বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ডিএসইর সব কার্যক্রম পেপারবিহীন করা হবে। এ উপলক্ষে ডিএসইর নিকুঞ্জ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএসইর পরিচালক সালমা নাসরীন। এছাড়া প্যানেল আলোচক ছিলেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক সাইফুর রহমান, ডিবিএর সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও, বিএমবিএ সভাপতি ছায়েদুর রহমান এবং সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শফিকুর রহমান।
ডিএসই পেপারবিহীন হওয়ার ফলে কাগজে চিঠিপত্র চালাচালি বন্ধ হয়ে যাবে। এরই মধ্যে ডিএসইর কিছু বিভাগে এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। যা ধীরে ধীরে সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে শুরু করা হবে।
আলোচকরা বলেন, ডিএসইর এ পেপারবিহীন হওয়ার ফলে স্টেকহোল্ডারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সময় ব্যয় কমে আসবে। এছাড়া স্টেকহোল্ডারসহ ডিএসইর আর্থিক ব্যয় কমে আসবে ও কাগজপত্র সংরক্ষণের জটিলতা কমবে। তবে, অনলাইনে যেহেতু চিঠিপত্র দেয়া-নেয়া হবে, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ বিএসইসির সঙ্গে ডিএসইর এবং ডিএসইর সঙ্গে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। যার গোপনীয়তা খুবই জরুরি।
মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, ডিএসইতে আসার আগে শুনতাম এখানে শতভাগ অটোমেটেড সিস্টেম। কিন্তু পরে দেখলাম বাস্তবে তা নেই। তবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন শেয়ারবাজারকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য অনেক কাজ করেছে। যার ফলে বিগত এক বছরে শেয়ারবাজারে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সার্বিকভাবে শেয়ারবাজার নিয়ে গর্ব করার জায়গায় নেই। এখনো অনেক দূরে পড়ে রয়েছে শেয়ারবাজার।
অনুষ্ঠানে ক্লাউড-ভিত্তিক অনলাইনে তথ্য দেয়ানেয়ার ঝুঁকির বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনার পরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হ্যাকিংয়ের ঘটনার পরে নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। তবে আমরা ক্লাউড-ভিত্তিক তথ্য দেয়া-নেয়া করলেও হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কম। জমা করা তথ্য হ্যাকিং হওয়ার সুযোগ নেই। তবে তথ্য দেয়ানেয়ার সময় ঝুঁকি আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়