চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

জাবিতে ছাত্রকে লাঞ্ছিত করায় দুই ছাত্রী বহিষ্কার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নুর হাছান নাঈম, জাবি প্রতিনিধি : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রকে চড় মারার ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৬ ব্যাচ) দুই ছাত্রীকে এক বছর এবং ছয় মাস মেয়াদে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি ভার্চুয়াল সিন্ডিকেট সভায় বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত হয়।
সিন্ডিকেট সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৪ ব্যাচের ফরহাদ হোসেন নামে এক ছাত্রকে চড় মারার ঘটনায় অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে এক বছরের জন্য এবং ভুক্তভোগী ছাত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ায় আনিকা তাবাসসুম মীমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ চলাকালে তারা কোনো ক্লাস-পরীক্ষা এবং ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সুযোগ-সুবিধাও তারা ভোগ করতে পারবে না।অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং প্রীতিলতা হলের আবাসিক ছাত্রী। তার সহযোগী আনিকা তাবাসসুম মীম নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের আবাসিক ছাত্রী।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ভুক্তভোগী ছাত্র ফরহাদ হোসেনকে চড় দেয় সুমাইয়া।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা নিপা বলেন, আমরা ছয়জন বন্ধু বটতলার রাস্তায় বাম পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তখন দুজন অপরিচিত মেয়ে ডান পাশ দিয়ে আমাদের ঔদ্ধত্যভাবে অতিক্রম করছিল, আবার তারা উচ্চস্বরে বলছিল রাস্তায় সাইড দিয়ে চলতে পারেন না। তখন আমাদের একজন বলল, রাস্তা তো ফাঁকা আছে। এ সময় একটি মেয়ে অসংলগ্ন উচ্চবাচ্য শুরু করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর এসব সহ্য করে আমরা স্থান ত্যাগ করি।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কাজী বিজয় বলেন, এই ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে অভিযুক্তের বন্ধু বটতলার একটি খাবারের দোকানে আমাদের ডাকে। এ সময় আমরা ঘটনার বিস্তারিত বলছিলাম। কিন্তু আকস্মিকভাবে অভিযুক্ত ছাত্রী পেছন থেকে এসে আমার সহপাঠীকে গালে থাপ্পড় দেয় ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এরপর অভিযুক্তের বন্ধু দিগন্ত তার বান্ধবীকে নিয়ে অন্য একটি দোকানের মধ্যে চলে যায়।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে উভয়পক্ষই লিখিত বক্তব্য জমা দেয়। ভুক্তভোগী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিনা উসকানিতে সুমাইয়া আক্রমণাত্মক আচরণ করে এবং হঠাৎ তাকে চড় মেরে বসে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুমাইয়া বলেন, তারা অন্য রকম অঙ্গভঙ্গি করছিল, যেটা আমার কাছে অসহনীয় লাগছিল। আমাকে তেড়ে মারতে চাচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা আমাকে নেশাখোর বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে তারা। একপর্যায়ে সহ্য সীমার বাইরে চলে গেলে চড় মেরে ফেলি এবং এটা খুব দ্রুত ঘটে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়