চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

চসিক মেয়র : ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পলিথিনমুক্ত হবে সব বাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম নগরীর সব বাজার আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পলিথিনমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। গতকাল বুধবার টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে চসিক পরিচালিত নগরীর বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সভায় মেয়র বলেন, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নগরীর বাজার কমিটির উদ্যোগে মাইকিং, পোস্টার, ফ্যাস্টুন, ব্যানার ও লিফলেটসহ সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। ৪১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিজ নিজ এলাকায় এ ব্যাপারে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিতে নির্দেশনা দেন তিনি। মেয়র বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে চসিক ম্যাজিস্ট্রেট বাজার পরিদর্শন করে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা ও সতর্কতা প্রদান করবেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে কোনো পলিথিন পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
চসিক পরিবেশ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি শৈবাল দাশ সুমনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মো. শফিকুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, পাহাড়তলী বাজার সমিতির সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম, ফইল্ল্যাতলী বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, ফকিরহাট বাজার দোকান মালিক সমিতির এম এ আজাদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল, নতুন বাজার কমিটির সভাপতি হাজি মো. আব্দুল লতিফ, ফিরিঙ্গীবাজার বাজার কমিটির সভাপতি মো. আনসার উদ্দিন।
মেয়র বলেন, নালা-নর্দমা-খাল এমনকি কর্ণফুলী নদীতেও পলিথিনের আস্তর পড়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও মশার উপদ্রপ বেড়ে গেছে। পলিথিন কর্ণফুলী নদীর তলদেশে জমাট হয়ে ৮ ফুটের বেশি শক্ত স্তর তৈরি হওয়ায় কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং ব্যাহত হচ্ছে। নেদারল্যান্ড থেকে অত্যাধুনিক ড্রেজিং মেশিন এনেও নদীর পুরু পলিথিন স্তর ভেদ করে ড্রেজিং সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরে কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা হারিয়ে মরা নদীতে পরিণত হবে। কর্ণফুলীর নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতা হারালে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। সেই সঙ্গে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই পরিবেশের ক্যান্সার এই পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়