চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

গ্রেপ্তার আতঙ্কে শিবালয়ের তিন গ্রাম পুরুষশূন্য

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের বকচর, নয়াচর ও কলাগাড়িয়া গ্রাম গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে বকচর এলাকায় গণপিটুনিতে আতোয়ার রহমান নয়ন (৩৫) নামে একজন নিহত ও লিটন নামে এক ডাকাত আহত মামলায় তিন গ্রামের মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। ওই সময় ডাকাতদের হামলায় হেমেন্দ্র চক্রবর্তীর স্ত্রী গীতা রানী চক্রবর্তী, ছোট ছেলে অটল চক্রবর্তী ও ছেলের বউ শিপ্রা চক্রবর্তী আহত হন।
নিহত আতোয়ার রহমান নয়ন জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের সুলতান হোসেনের ছেলে এবং আহত লিটন মানিকগঞ্জ সদর থানার মিতরা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ রাত আড়াইটার দিকে বকচর গ্রামে ৬/৭ সদস্যের এক ডাকাত দল হানা দেয়। ডাকাতি চলার সময় চক্রবর্তী বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা লুটের মাল নিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করলে গ্রামবাসী দুজনকে গণধোলাই দেয়। এতে একজন নিহত এবং অপরজন আহত হন।
কলাগাড়িয়া, নয়াচর ও বকচর গ্রামের কয়েকজন বয়োজ্যেষ্ঠ নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, দিনের বেলায় এই তিন গ্রামের পুরুষ মানুষ মাঠে ময়দানে কাজ করে। কিন্তু রাতের বেলায় পুলিশের ভয়ে কেউ বাড়িতে থাকে না। এই মামলাকে কেন্দ্র করে এলাকার মানুষ হয়রানি হলেও দালালদের পকেট ভারি হচ্ছে।
মহাদেবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আক্তার খাজা জানান, ওই তিন গ্রামের মানুষ গ্রেপ্তারের ভয়ে বেশ আতঙ্কে রয়েছে। এ বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম (পিপি) কাকাও অবগত আছেন। মাসুদ পারভেজ পিন্টু, অসিদ কুমার হোড় এবং আমি দুদিন আগে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, প্রায় দিনই এলাকায় পুলিশ আসে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা বেশ আতঙ্কে রয়েছেন।
এ মালার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাকিম মোল্লা (এসআই) দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, গত বছরের অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখে এ বিষয়ে মামলা রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু ওই সময়ে কোনো তথ্য আমার হাতে না আসায় দুই আড়াই মাস আমি ঘটনাস্থলেই যাইনি। আমি যখন তথ্য ও সূত্র (ক্লু) পেয়েছি তখন তিনজন আসামি আটক করেছি। এদের দুজনের রিমান্ড আবেদন চেয়েছি এবং মঞ্জুর হয়েছে। ওয়ান সিক্সটি ফোরে সম্ভবত ১০/১১ জনের নাম এসেছে এবং ওয়ান সিক্সটি ওয়ানে আরো কিছু নাম এসেছে। এলাকার কিছু লোক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তবে বেশিরভাগ লোক শুধু শুধু আতঙ্কে আছেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে পারব না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়