চট্টগ্রামে রিকশা-বাসের সংঘর্ষে যাত্রী নিহত

আগের সংবাদ

ইসি গঠন বিল ‘তড়িঘড়ি’ পাস : বিএনপি ও জাপার তীব্র বিরোধিতা > সার্চ কমিটিতে থাকবেন একজন নারী সদস্য

পরের সংবাদ

আগাম আলুর দরপতন : উঠছে না উৎপাদন খরচ বিপাকে কৃষকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শাহ কামাল ফারুখ লাবু, পীরগাছা (রংপুর) থেকে : পীরগাছায় এবার আগাম জাতের আলুর বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই চাষির মুখে। বাজারে দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পানির দামে বিক্রি করা হচ্ছে আগাম জাতের আলু। এতে উৎপাদন খরচ তো উঠছেই না বরং ক্রেতার পেছনে ঘুরতেই দিন শেষ কৃষকদের। ফলে এবারো লোকসানের পাল্লা ভারি হওয়ায় আলুচাষিদের চোখেমুখে দেখা দিয়েছে আতঙ্কের ছাপ। গত শনিবার পীরগাছা উপজেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়। অন্য ফসল আবাদের জন্য জমি থেকে এখন আলু তোলা জরুরি হয়ে পড়েছে।
চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে আলু চাষে নেমে পড়েছেন। তবে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও বিভিন্ন ইউনিয়নে উঁচু জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়। এসব আলুর ফলন বাম্পার হলেও কৃষককের মুখে হাসি নেই। প্রথমদিকে আগাম জাতের আলু প্রতি বস্তা (৯০ কেজি) ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে আগাম জাতের আলুর বাজারে ধস নেমেছে। বর্তমান বাজারে প্রতি বস্তা (৯০ কেজি) ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল জাতের আলু ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা এবং গ্রানোলা জাতের ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চর গ্রামের আলুচাষি সুরুজ মিয়া বলেন, ধারদেনা করে আগাম জাতের আলু চাষ করেছি। যাতে আলু তুলে অন্য ফসল চাষ করতে পারি। এখন দেখি বাজারে দাম নেই। উৎপাদন খরচই উঠছে না। তবুও বাকিতে আলু বিক্রি করে দিলাম।
নয়ারহাট এলাকার কৃষক আলামিন মিয়া বলেন, এ বছর আলুর ফলন বাম্পার হলেও বাজারে তেমন দাম নেই। আগাম আলু সংরক্ষণ ও বাইরে রপ্তানির কোনো সুযোগ না থাকায় আমরা দাম পাচ্ছি না।
ফলে আলুচাষিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পীরগাছা বাজারের আলু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আলুর উৎপাদন বেশি হওয়া ও একসঙ্গে কৃষকরা আলু উত্তোলন করায় বাজারে চাহিদা কম। তাই দামটাও কমে গেছে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল আলম বলেন, আগাম জাতের আলু সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। আর সব জায়গায় বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকরা আলু উত্তোলন করছেন। ফলে বাজারে দাম কম। তবে পর্যায়ক্রমে আলু তোলা হলে তেমন লোকসান হতো না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়