নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

শাবিপ্রবির সংকট সমাধানে উদ্যোগী হোন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়ে সংকট দিন দিন বেড়ে চলছে। বর্তমান সরকার আমলে গত ১৩ বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন উপাচার্য (ভিসি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন। এখন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে এই আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর ভার্চুয়াল আলোচনায়ও দমেননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই অবস্থায় সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হলেও দায় নিচ্ছেন না কেউ। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন দেখছে সরকার। ক্ষমতাসীনরা মনে করছে, এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাইরে ফায়দা হাসিলের চেষ্টায় লিপ্ত তৃতীয় একটি পক্ষ। এজন্য আন্দোলনরতদের আরো সতর্ক থাকার পরামর্শও দিচ্ছেন দলটির নেতারা। একই মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরও। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বাস্তবতা ও তৃতীয় পক্ষের ইন্ধনের বিষয়টি কতটা সত্য তদন্তের দাবি রাখে। জানা গেছে, ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা। এর জেরে ১৬ জানুয়ারি বিকালে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন। বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সে আন্দোলন ঠেকেছে এক দফায়। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে উত্তাল এখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন প্রথম মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় মেয়াদের এক বছর পার করলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের কোনো অভিযোগ এখনো ওঠেনি। হলকেন্দ্রিক দাবিতে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে সমাধান না করা এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় তার পদত্যাগের দাবি সামনে চলে আসে। শুধু পুলিশি হামলার কারণে পদত্যাগ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত? আন্দোলনকারীদের পেছনে অন্য ইন্ধন রয়েছে কিনা- এসব বিষয় সামনে আসছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে কোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। আন্দোলন পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হওয়া সত্ত্বেও ভিসির পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কটি পারস্পরিক সম্মানবোধের। সেটি যেন অক্ষুণ্ন থাকে তা অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে এবং যে কোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবশ্যই সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা মনে করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়