নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

গোল্ড ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ গড়ে তোলার দাবি ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের স্বর্ণ ব্যবসাকে আরো এগিয়ে নিতে এবং রপ্তানির পথ সুগম করতে গোল্ড ব্যাংক ও গোল্ড এক্সচেঞ্জ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এতে স্বর্ণ বন্ধক রেখে ঋণ নিতে পারবেন তারা। একই সঙ্গে প্রতিদিন স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করা সম্ভব হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকালে এই দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যালয়টি উদ্বোধন করেন।
এ সময় তিনি গোল্ড ব্যাংক ও গোল্ড এক্সচেঞ্জ গড়ে তোলার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর। সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যন্ত্রী বলেন, স্বর্ণ নীতিমালা করতে আমরা সবাই অনেক পরিশ্রম করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী অনেক সহযোগিতা করেছেন।
এমনকি তিনি রপ্তানি বাড়াতে স্বর্ণের সঙ্গে হীরার নীতিমালাও যোগ করতে বলেছেন। তিনি বলেন, আপনারা ‘গোল্ড ব্যাংক’ ও ‘ব্যাংক এক্সচেঞ্জ’ করার যে দাবি করেছেন আমার মনে হচ্ছে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে ভালো কিছু হবে। আপনারা সুনির্দিষ্ট একটি প্রস্তাব তৈরি করে আমার কাছে দিন। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হবেন। এটি আমাদের রপ্তানির স্বার্থেই করতে হবে।
সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, জুয়েলারি শিল্পের ব্যবসায়ীরা এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ব্যবসা করছে। আমরা এসব সমস্যা সরকারের কাছে তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত স্বর্ণ বন্ধক রেখে লোন নেয়া যেত। এ ধারাটি বন্ধ হয়ে গেছে। এটা আবার চালু করতে ভালো একটি নীতি দরকার।
এ নীতি তৈরির জন্য আমরা চাই বাজুসের মাধ্যমে একটি ‘গোল্ড ব্যাংক’ ও ‘একটি গোল্ড এক্সচেঞ্জ’ করা হোক। আমরা প্রায়ই দেখি, দেশের বিভিন্ন পথ দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে। এর কারণ আমাদের সুনির্দিষ্ট ও পরিকল্পিত কোনো নির্দেশনা নেই। এ নির্দেশনার জন্য আমাদের একটি এক্সচেঞ্জ দরকার। যেখানে প্রতিদিন দাম নির্ধারণ হবে।
আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণ শিল্পীরা পৃথিবী বিখ্যাত।
সারা ভারতবর্ষে গিয়ে তারা কাজ করে। আমি নিশ্চিত স্বর্ণ শিল্প দেশের গার্মেন্টস শিল্পকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবে। আমরা যদি শুধু চীন ও ইউরোপে রপ্তানি শুরু করতে পারি- তবে আমাদের টাকা রাখার জায়গা থাকবে না। কারণ গার্মেন্ট পণ্যের চেয়ে স্বর্ণের দাম অনেক বেশি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়