নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

ইউক্রেন-উত্তেজনা : যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত সাড়ে ৮ হাজার মার্কিন সেনা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ইউক্রেন-রুশ সীমান্ত ঘিরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে ৮ হাজার সৈন্যকে স্বল্প সময়ের নোটিসে যুদ্ধে পাঠানোর জন্য সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে’ বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। পেন্টাগনের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, সৈন্যদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে, তবে তাদের ইউরোপে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যরা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলে অথবা রাশিয়ার সেনা মোতায়েন ঘিরে অন্য কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তবেই যুক্তরাষ্ট্র সেনা পাঠাবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এককভাবে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানান তিনি। জন কিরবি বলেন, এটা খুবই স্পষ্ট যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। তবে সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখার পদক্ষেপটি মূলত আমাদের ন্যাটোর মিত্রদের আশ্বস্ত করার জন্যই নেয়া। পশ্চিমা এবং ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলে আসছে, এ বছরের শুরুর দিকেই কোনো এক সময় আরেকটি হামলা বা অভিযানের পরিকল্পনায় আছে মস্কো।
রাশিয়া তার প্রতিবেশী ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করলেও কোনো ধরনের অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ইউক্রেনের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সেদেশের সরকারে ‘মস্কোপন্থি কাউকে বসানোর ষড়যন্ত্র’ করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ মন্ত্রীরা হুঁশিয়ার করেছেন, ইউক্রেনে হামলা হলে রাশিয়াকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্মুখসারির সেনাদের রসদ হিসেবে ৯০ টনের মতো গোলাবারুদ পাঠিয়েছে ইউক্রেনে। পাশাপাশি সেখানে থাকা মার্কিন দূতাবাস কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ওয়াশিংটন। গত সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে কিরবি বলেন, আমি মনে করি না, ইউরোপ মহাদেশে কেউ আরেকটি যুদ্ধ দেখতে চায়।
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে গত সোমবার ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি যৌথ কৌশল নির্ধারণ। আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসসহ ন্যাটোর বেশ কিছু সদস্য এরই মধ্যে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধবিমান ও রণতরী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ইউক্রেন সংকট নিয়ে সোমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ভিডিও ফোনকলে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রয়েজ দুদা, ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতা উরসুলা ফন ডের লিয়েন ও চার্লস মিশেলের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা খুবই-খুবই-খুবই ভালো আলোচনা করেছি। ইউরোপের সব নেতাই একইসুরে কথা বলেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়