নাসির-তামিমার বিয়েকাণ্ডে মামলা : অভিযোগ গঠনের আদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি

আগের সংবাদ

ক্লিনিক্যাল গাইডলাইন চূড়ান্ত : যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, আইসোলেশনের সময়সীমা ৫ দিনের বেশি চান বিশেষজ্ঞরা

পরের সংবাদ

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ফের বাড়ল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। পূর্ব ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় পণ্যটির সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে গতকাল সর্বশেষ কার্যদিবসে পণ্যটির দুই বাজার আদর্শেরই দাম বেড়ে যায়।
সম্প্রতি আইসিই ফিউচার্স ইউরোপে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ৫৮ সেন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৮ ডলার ৪৭ সেন্টে।
অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ৫৭ সেন্ট বা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮৫ ডলার ৭১ সেন্টে। গত সপ্তাহে উভয় বাজার আদর্শের দাম টানা পাঁচ সপ্তাহের মতো বেড়েছে। সাপ্তাহিক দাম ২ শতাংশ বাড়ার মধ্য দিয়ে পণ্যটির বাজার ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চে পৌঁছল। সরবরাহ সংকটের উদ্বেগে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে পণ্যটির গড় দাম।
এদিকে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক ও এর মিত্র দেশগুলো উত্তোলন বাড়াতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে। উত্তোলন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে জোটটি। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হিটিং ফুয়েলের চাহিদা বাড়ায় পণ্যটির বাজার আরো ঊর্ধ্বমুখী চাপের মধ্যে পড়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ন্যাটো মিত্রের সহায়তায় পূর্ব ইউরোপ ও বাল্টিক অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের কথা ভাবছে বাইডেন প্রশাসন। এ কারণে পূর্ব ইউরোপে সরবরাহ সংকট প্রকট আকার ধারণ করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়া যদি ইউক্রেনে পুতুল সরকার গঠন করে, তবে দেশটি ভয়াবহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ব্রিটেন। এছাড়া ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্ব›দ্ব চরমে পৌঁছেছে।
সূত্র বলছে, ২০২০ সালে জ্বালানি পণ্যের চাহিদায় ধস নামলে জোটটি উত্তোলন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গত বছর পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিলে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে একমত হন জোটের সদস্যরা। চাহিদা বাড়ায় প্রতি মাসে দৈনিক চার লাখ ব্যারেল উত্তোলন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জোটটি। এক্ষেত্রে ১০ সদস্যবিশিষ্ট ওপেককে দৈনিক ২ লাখ ৫৩ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়ানোর সীমা বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু জোটটির অনেক ক্ষুদ্র উত্তোলক দেশ সরবরাহ বাড়াতে সক্ষম হয়নি। অন্যরা আবারো চাহিদা কমার আশঙ্কায় উত্তোলন বাড়াচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়