প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি : ঢাবিতে প্রতীকী অনশন শিক্ষক নেটওয়ার্কের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাকায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষক। গতকাল সোমবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘শিক্ষার্থীদের তাজা প্রাণের বিনিময়ে উপাচার্যের গদি রক্ষা নয়’ স্লোগান নিয়ে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সেখানে অন্তত ২০ জন শিক্ষক এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর একদল নেতাকর্মীও শিক্ষকদের এই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে সেখানে অবস্থান নেন।
কর্মসূচিতে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে উদ্দেশ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সম্মানবোধ থাকলে আজকের মধ্যেই আপনি পদত্যাগ করেন। আপনার জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বা ফেডারেশনের আন্দোলনকে পুঁজি করে উপাচার্য হয়েছেন। অনেক অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে নিজেকে আর না পচিয়ে আপনি অবিলম্বে আজকের মধ্যেই পদত্যাগ করুন। প্রাণ বাঁচুক, বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচুক। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অব্যাহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক।
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সংহতি জানালেও শিক্ষক সমিতি বা ফেডারেশনগুলোর ‘নীরব’ ভূমিকার সমালোচনা করেন আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর জন্য শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনশন করছে। কিন্তু শিক্ষক সমিতি বা ফেডারেশনগুলোর ভূমিকা লজ্জাজনক। তারা শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করার চাইতে যেভাবে সরকারের বা প্রশাসনের স্বার্থ রক্ষার্থে নিয়োজিত আছে, তাতে শিক্ষকদের মর্যাদা সংকটে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আজকে পরিস্থিতিটা এমন, উপাচার্য নিয়োগের জন্য মেধা, শিক্ষা কিংবা গবেষণার জন্য তাদের ভূমিকা বিচার্য বিষয় নয়। বিচার্য বিষয় হচ্ছে তারা কতটা আনুগত্য দেখাতে পারবেন সরকারের প্রতি।
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, যে পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, সেটাই আসলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকটের মূল। এখানে তার একাডেমিক যোগ্যতার চেয়ে, গবেষণার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় তার মেরুদণ্ড কত নরম। নরম মেরুদণ্ডের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া অন্য শিক্ষকদের মধ্যে অন্যরা হলেন -জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, একই বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের কাজী মারুফুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসনীম সিরাজ মাহবুব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, নৃবিজ্ঞান বিভগের সহযোগী অধ্যাপক জোবাইদা নাসরীন, শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের ফাহিরনা দূর্রাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের তাহনিমা খানম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজলী শেহরীন ইসলাম, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুশাদ ফরিদী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়