কাগজ প্রতিবেদক : ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্তকৃত পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্তকৃত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালতে মামলাটির যুক্তি উপস্থাপনে এ দাবি করেন তিনি।
মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা সব সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।
তাই আসামিদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় তার যুক্তি উপস্থাপনে তা বলেছি। রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। এজন্য বিচারক আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি আত্মপক্ষ সমর্থনে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিল দুদক।
সেটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বাছির।
এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ।
ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলাটিতে ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।